এককালে তাঁর বিরুদ্ধে উগ্রপন্থার রাস্তা নেওয়ার অভিযোগ ছিল। অভিযোগ ছিল বিচ্ছিন্নতাবাদী হওয়ার। পরবর্তীতে রাজনীতিতে যোগদান করেন বার্নার্ড মারাক। এরপরও অভিযোগের ছায়া তাঁর পিছু ছাড়েনি। এক যৌন কেলেঙ্কারি মামলায় জেলযাত্রাও হয়েছিল বার্নার্ড মারাকের। আর সেই বার্নার্ড মারাককেই এবার মেঘালয় বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার বিরুদ্ধে প্রার্থী করেছে বিজেপি।
মেঘালয়ের রাজনীতিতে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে গারো হিলস এক তাৎপর্য ভূমিকা পালন করতে চলেছে। বিজেপি চাইছে গারো হিলস থেকে একটা বড় অংশের ভোট নিজের ঝুলিতে রাখতে । এই এলাকায় মেঘালয়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা তৃণমূলের মুকুল সাংমা ও বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা এই এলাকায় ভোট যুদ্ধে রয়েছেন। এদিকে গারো হিলসের দক্ষিণ তুরা থেকে কনরাডের বিরুদ্ধে বিজেপির হয়ে লড়ছেন বার্নার্ড। কনরাড সরকার গত বছরই বার্নার্ডকে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল। তাঁর মতে, কনরাডকে তিনি চ্যালেঞ্জ করছেন দেখে কনরাড সাংমা সামান্য উদ্বেগে। (৩ বছরে ২১ টি বিদেশ সফরে গিয়েছেন মোদী, খরচ হয়েছে কত কোটি? প্রকাশ্যে পরিসংখ্যান)
মেঘালয় বিজেপির ভাইস প্রেসিডেন্ট বার্নার্ড বলছেন,'মুখ্যমন্ত্রী তাঁর আসনে একটি পরাজয়ের সারপ্রাইজ পাবেন। বিজেপি রাজ্যে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হয়ে উঠবে। গারো হিলসের প্রায় ২৪-এর মধ্যে ১৫ টি আসন পাবে তারা।' উল্লেখ্য, পকসো আইনের আওতায় এক অভিযোগ ঘিরে গ্রেফতার হয়েছিলেন বার্নার্ড। এরপর সদ্য ২০২২ নভেম্বরে মেঘালয়ের হাইকোর্ট তাঁকে জামিনে মুক্তি দেয়। এর আগে ৩ মাস জেলবন্দি ছিলেন তিনি এই মামলায়। এদিকে সেই পর্ব ভুলে আপাতত নির্বাচনী লড়াইতে তিনি মনযোগ দিয়েছেন। বার্নার্ড বলছেন, কনরাড যে সমস্ত স্কিমের ভিত্তিতে নিজের সাফল্যের কথা বলছেন, তার সম্পূর্ণটাই কেন্দ্রীয় স্কিম। বার্নার্ডের অভিযোগ, ‘শেষ ৫ বছরে দরিদ্ররা দরিদ্রই রয়েছে, বহু সুযোগ সুবিধা পায়নি, যুবকদের জন্য কোনও কর্মসংস্থান নেই।’