প্রকাশ হয়েছে ১০৮টি পুরসভার জন্য তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা। এবারে পুরসভাগুলতে কোনও বিধায়ককে টিকিট দেওয়া হয়নি। নবীন ও প্রবীণ কর্মীদেরকে সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। তবে তাতেও প্রার্থী তালিকা নিয়ে দেখা দিল ক্ষোভ। জেলায় জেলায় দেখা গিয়েছে বিক্ষোভ। তা নিয়ে বিরোধীদেরও কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছে। প্রার্থী তালিকা প্রকাশের কয়েক ঘণ্টাও যেতে না যেতেই বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীদের দেখা গেল মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরির বাড়ির সামনে প্রতিবাদ করতে। বিক্ষোভকারীদের অসন্তোষের কারণ, দু’দিন আগেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েই কাঁথির ৭ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডে টিকিট পেয়েছেন অতনু গিরি ও তরুণ কুমার বেরা। আর বিজেপিত্যাগী এই বিদায়ী কাউন্সিলরদের ঘাসফুল শিবির টিকিট দেওয়াতেই বিপত্তি।অখিল গিরির বাড়ির সামনে গভীর রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা। পরে অখিল গিরি বিক্ষোভকারীদের জানান, তিনি দলের নির্বাচনী কমিটির আহ্বায়ক পদ ছাড়বেন। বিক্ষোভকারীদের শান্তি সহকারে ফেরার জন্য বলেন তিনি। অখিল গিরি বিক্ষোভকারীদের কাছেই অভিযোগ করেন, যে তাঁরা যে প্রার্থী তালিকা দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়েছিলেন, তা অনুমোদন পায়নি৷ মন্ত্রী নিজেই অভিযোগ করেন, অতনু ও তরুণ শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ এবং এখনও বিজেপির সঙ্গে যোগ আছে তাঁদের৷ এই আবহে এই দুই নেতাকে কী করে দল টিকিট দিল, তা তিনি নিজেও জানেন না৷ অখিল গিরি জানান, প্রতিটি ওয়ার্ডে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দু’বার করে বৈঠক করেছএ পাঁছ সদস্যের নির্বাচনী কমিটি৷ এরপর প্রার্থী তালিকার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল৷ তবে তা মানা হয়নি৷ যা নিয়ে তিনি নিজেও অসন্তুষ্ট৷এদিকে শুধু কাঁথি নয়, গরা পুরসভায় তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা নিয়েও রয়েছে অসন্তোষ৷ অন্যদিকে, প্রার্থী না হতে পেরে অনুগামীদের নিয়ে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন তমলুক টাউন যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বনাথ হাজরা৷ তাঁর অভিমান, বিগত ২৫ বছর ধরে দল করলেও তাঁকে টিকিট দেওয়া হয়নি৷