ছত্তিশগড়ে মাওবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াইযে কমপক্ষে ২২ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু সেই সময় অসমে ভোটের প্রচার চালানোর জন্য ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলকে তোপ দাগলেন অসমের বিজেপি সাংসদ দিলীপ সাইকিয়া। যদিও বাঘেল জানিয়েছেন, রবিবার সন্ধ্যায় রাজ্যে ফিরবেন তিনি।আগামী ৬ এপ্রিল (মঙ্গলবার) অসমে তৃতীয় তথা শেষদফার ভোটগ্রহণ। সেজন্য রবিবার বিকেলে শেষ হবে প্রচার-পর্ব। তার আগে মঙ্গলদইয়ের বিজেপি সাংসদ সংবাদসংস্থা এএনআইকে বলেন, ‘যখন জওয়ানরা প্রাণ হারিয়েছেন, তখন অসমে ভোটপ্রচারে ব্যস্ত আছেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। উনি সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে এখানে থাকছেন এবং সরকারি ব্যবস্থার অপব্যবহার করছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা উচিত নির্বাচন কমিশনের।’ সঙ্গে বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিযোগ করেন, ‘জওয়ানদের হত্যার ঘটনাকে ভ্রূক্ষেপ করেন না বাঘেল। ছত্তিশগড়ের প্রতি দায়িত্ব পূরণ না করে কংগ্রেস নেতা অসমে থাকছেন।’যদিও বাঘেল জানিয়েছেন, রবিবার সন্ধ্যায় রাজ্যে ফিরবেন তিনি। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলেছেন। রবিবার সকালেই রাজ্যে পৌঁছে গিয়েছেন সিআরপিএফের ডিজি কুলদীপ সিং ছত্তিশগড়ে পৌঁছে গিয়েছেন। উদ্ধারকাজের উপর নজর রাখবেন। একইসঙ্গে বাঘেলের কথায়, ‘চার ঘণ্টা সুরক্ষা বাহিবী এবং মাওবাদীদের মধ্যে গুলির লড়াই চলে। মাওবাদীদের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমাদের জওয়ানদের আত্মবলিদান বৃথা যাবে না।’ছত্তিশগড় পুলিশের কর্তারা জানিয়েছেন, শনিবার বেলা ১২ টা নাগাদ সুকমা-বিজাপুরের সীমান্তবর্তী এলাকায় জোনাগুড়া গ্রামের কাছে বস্তার জঙ্গলে মাওবাদীদের গেরিলা বাহিনীর সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির লড়াই শুরু হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর পৃথক যৌথ দলে ছিলেন সিআরপিএফের কোবরা, ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড এবং স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের প্রায় ২,০০০ জওয়ান। প্রাথমিকভাবে পাঁচ জওয়ানের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। আহত জওয়ানদের আকাশপথে রায়পূুরে উড়িয়ে আনা হয়। রবিবার সকালে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে থাকে। বিজাপুরের পুলিশ সুপার কমলচরণ কাশ্যপ জানিয়েছেন, ২২ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে।