শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই চালিয়েও হার দিয়ে বিশ্বকাপ ২০২৩ অভিযান শেষ করল আফগানিস্তান। এবারের বিশ্বকাপে একের পর এক অঘটন ঘটানো আফগান দল শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে তাদের শেষ লিগ ম্যাচে হার মানে। যদিও সহজে জয় পায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। বরং আফগানিস্তানের ঝুলিয়ে দেওয়া ছোটখাটো লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে কষ্ট করে জিততে হয় প্রোটিয়াদের।
আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে আফগানিস্তান। তারা শুরু থেকেই নিয়মিত অন্তরে উইকেট হারাতে থাকে। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের একক লড়াইয়ে ভর করে আফগানিস্তান আড়াইশো রানের দোরগোড়ায় পৌঁছতে সক্ষম হয়। তারা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৪৪ রানে অল-আউট হয়ে যায়।
আজমত ৪টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৭১ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি শেষমেশ ব্যক্তিগত ৯৭ রানে অপরাজিত থেকে যান। অর্থাৎ নিশ্চিত শতরান মাঠে ফেলে আসেন ওমরজাই। ১০৭ বলের লড়াকু ইনিংসে তিনি ৭টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন।
এছাড়া রহমানউল্লাহ গুরবাজ ২৫, ইব্রাহিম জাদরান ১৫, রহমত শাহ ২৬, ইক্রম আলিখিল ১২, রশিদ খান ১৪ ও নূর আহমেদ ২৬ রান করেন। ক্যাপ্টেন হাশমতউল্লাহ শাহিদি ২ রান করে আউট হন। ২ রানে সাজঘরে ফেরেন মহম্মদ নবি। মুজিব উর রহমান ৮ ও নবীন উল হক ২ রানের যোগদান রাখেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ১০ ওভারে ১টি মেডেন-সহ ৪৪ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট নেন জেরাল্ড কোয়েটজি। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন লুঙ্গি এনগিদি ও কেশব মহারাজ। ১টি উইকেট নেন অ্যান্ডিল ফেলুকওয়াও। উইকেট পাননি কাগিসো রাবাদা ও এডেন মার্করাম।
পালটা ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা ৪৭.৩ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ২৪৭ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ১৫ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে ম্যাচ জেতে প্রোটিয়ারা।
ম্যাচ জেতানো হাফ-সেঞ্চুরি করেন রাসি ভ্যান ডার দাসেন। তিনি ৬টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৯৫ বলে ৭৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। কুইন্টন ডি'কক করেন ৪১ রান। ৪৭ বলের ইনিংসে তিনি ২টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। তেম্বা বাভুমা ২৩, এডেন মার্করাম ২৫, এনরিখ ক্লাসেন ১০, ডেভিড মিলার ২৪ ও অ্যান্ডিল ফেলুকওয়াও অপরাজিত ৩৯ রানের যোগদান রাখেন।
রশিদ খান ১০ ওভারে ১টি মেডেন-সহ ৩৭ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট দখল করেন। ১০ ওভারে ১টি মেডেন-সহ ৩৫ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট নেন মহম্মদ নবি। ১টি উইকেট নেন মুজিব উর রহমান। ম্যাচের সেরা হন দাসেন।