বাংলা নিউজ > ক্রিকেট > বিশ্বকাপ > PAK vs NZ: দাসেনের ডিআরএস নিয়ে ভুল স্বীকার আইসিসি-র, তাতেও থেকে গেল বিতর্ক
পরবর্তী খবর
PAK vs NZ: দাসেনের ডিআরএস নিয়ে ভুল স্বীকার আইসিসি-র, তাতেও থেকে গেল বিতর্ক
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 28 Oct 2023, 02:55 PM ISTTania Roy
দাসেনকে এলবিডব্লিউ দেওয়া হলে ডিআরএস নেন তিনি। বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায় বল স্টাম্পে লাগেনি। তবে এর কিছুক্ষণ পরই আরও একবার বল ট্র্যাকিং প্রদর্শন করা হয়। যেখানে দেখা যায়, বলের নিচু ভাগের কিছু অংশ স্টাম্পে আঘাত করছে। তাই আম্পায়ার্স কল বহাল থাকায় সাজঘরে ফিরে ফিরে যেতে বাধ্য হন দাসেন। যা নিয়ে বিতর্ক শুরু।
ভ্যান ডার দাসেনের বিরুদ্ধে এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে বল-ট্র্যাকিংয়ের দু'টি ভিন্ন ফলাফল।
শুক্রবার চেন্নাইয়ে পাকিস্তান এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে বিশ্বকাপের ম্যাচে রাসি ভ্যান ডার দাসেনের এলবিডব্লিউ সিদ্ধান্তের বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ক্ষোভের পরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এবার এই বিষয়ে মুখ খুলেছে। রান তাড়া করার সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানকে ১৯তম ওভারে ফিল্ড আম্পায়ার পল রেইফেল তাঁকে আউট দেন। পাকিস্তানের লেগ-স্পিনার উসামা মিরের ডেলিভারিটি স্কিড করে সোজা প্যাডে গিয়ে লাগে। পাকিস্তানি ফিল্ডারদের আবেদনে সাড়া দিয়ে আউট দেন আম্পায়ার। সন্তুষ্ট না হয়ে রিভিউ নেন দাসেন। সেখানেই বিতর্কের সূত্রপাত।
খালি চোখে মনে হয়েছিল যে, বলটি স্টাম্প মিস করতে পারে। ডিআরএস নেওয়ার পর বল ট্র্যাকিংয়েও দেখা যায় বল স্টাম্পে লাগেনি। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরই আরও একবার বল ট্র্যাকিং প্রদর্শন করা হয়। যেখানে দেখা যায়, বলের নিচু ভাগের কিছু অংশ স্টাম্পে আঘাত করছে। তাই আম্পায়ার্স কল বহাল থাকায় সাজঘরে ফিরে ফিরে যেতে বাধ্য হন দাসেন।
কিন্তু একই ডিআরএসের জন্য দু'টি ভিন্ন বল ট্র্যাকিং কেন? এটাই এখন বিতর্কের কেন্দ্রে। ভুল স্বীকার করে আইসিসি জানিয়েছে যে, পরের বল ট্র্যাকিংই সঠিক ছিল। আইসিসির এক মুখপাত্র বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা এবং পাকিস্তানের মধ্যে এদিনের (শুক্রবার) ম্যাচে রাসি ভ্যান ডার দাসেনের এলবিডব্লিউ রিভিউ করার সময়ে একটি অসম্পূর্ণ গ্রাফিক ভুল ভাবে প্রদর্শিত হয়। সঠিক বিবরণসহ পরিপূর্ণ গ্রাফিকটি পরে প্রদর্শিত হয়েছিল।’ তবে এমন আজব যুক্তি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে এমনটাই সম্ভব? টেকনিক্যালি আইসিসি কি তবে এখন পিছিয়ে? অনেক আউটের ক্ষেত্রেই কি এভাবেই ভুল হয়ে থাকে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামর সংস্থার? জন্ম দিয়েছে নতুন প্রশ্নের!
ডিআরএস বিতর্কের এখানেই শেষ নয়। ম্যাচের ৪৬তম ওভারে হ্যারিস রউফের শেষ ডেলিভারিটি প্যাডে লাগে তাবরেজ শামসির। কিন্তু আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। শেষ উইকেটের জুটিটি ভাঙতে ডিআরএসের আশ্রয় নেয় পাকিস্তান। কিন্তু বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায় বল স্টাম্পে লাগে ঠিকই, কিন্তু বলের ৫০ভাগের বেশি অংশ থাকে স্টাম্পের বাইরে। তাই বহাল থাকে আম্পায়ারের নট আউট সিদ্ধান্ত, বেঁচে যান শামসি।
আম্পায়ার্স কল না থাকলে, দিনের শেষে এক উইকেটে হারতে হত না পাকিস্তানকে। ম্যাচ শেষে অবশ্য এই নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেননি অধিনায়ক বাবর আজম। তিনি বলেছেন, ‘ডিআরএস খেলারই অংশ। তবে ওটা যদি (আম্পায়ার) আউট দিতেন, সেটা আমাদের পক্ষে যেত। আম্পায়ার্স কল যেটা হয়ে গিয়েছে, সেটা খেলারই অংশ।’