দুর্দান্ত বল করল ভারত। ধ্বংস হয়ে গেল ইংল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কা। কিন্তু তাতে কাঁদুনি গাইতে শুরু করে দিলেন পাকিস্তানি ক্রিকেট মহলের একাংশ। তেমনই একজন হলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার হাসান রাজা। ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের পর পাকিস্তানের একটি সংবাদমাধ্যমে তিনি প্রশ্ন তোলেন, মহম্মদ শামি, মহম্মদ সিরাজরা কীভাবে কেন ভালো বোলিং করছেন? যে পিচে শ্রীলঙ্কা ৩৫০ রান হজম করছে, সেখানে কীভাবে শামিরা এত সুইং এবং সিম করতে পারছেন?ভারত যখন বোলিং শুরু হচ্ছে, তখন কি বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা আইসিসি বা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) বল পালটে দিচ্ছে?
হাসান সেই মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এবিএন নেটওয়ার্কের বিশ্বকাপ সংক্রান্ত একটি অনুষ্ঠানে। হাসানকে উদ্দেশ্য করে ওই অনুষ্ঠানের সঞ্চালক বলেন, ‘আজ ম্যাচের ক্ষেত্রে আমার সবার আগে মনে হচ্ছে যে (ভারত যে বলে বোলিং করেছে), সেই বলটা আলাদা ছিল। এরকম কি কোনও সম্ভাবনা আছে বলে আপনার মনে হয়? ভারতীয়রা (ভারতীয় বোলাররা) যেভাবে সিম ও সুইং পাচ্ছেন, তাতে মনে হচ্ছে যেন বোলিং পিচে বল করছেন। অভাবনীয় সিম এবং সুইং হচ্ছে।’
সেই প্রশ্নের জবাবে পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার বলেন, ‘বলের একটা বিষয় নজরে আছে। শামির মতো বোলার, সিরাজের মতো বোলার (এত ভালো বোলিং করছেন কীভাবে?)’ সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যেভাবে বল করছে, তাতে অবাক হয়ে গিয়ে আমার মনে হচ্ছে যে দ্বিতীয় ইনিংসে বল পালটে দেওয়া হচ্ছে। যেভাবে (সিম ও সুইং হচ্ছে) তাতে (প্রশ্ন জাগছে যে) এই বলটা আইসিসি দিচ্ছে নাকি তৃতীয় আম্পায়ার দিচ্ছেন, নাকি বিসিসিআই দিচ্ছে, সেটারও পরীক্ষা হওয়া উচিত।’
সেখানেই থামেননি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ‘ফ্লপ’ হওয়া হাসান। যিনি পাকিস্তানের হয়ে মাত্র সাতটি টেস্ট খেলেছেন। করেছেন মাত্র ২৩৫ রান। একবারও তিন অঙ্কের মুখ দেখতে পাননি। সর্বোচ্চ করেন ৬৮ রান। দুটি অর্ধশতরান করেন। গড় ২৬.১১। সেইসঙ্গে ১৬টি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন। সেখানে পারফরম্যান্স তো আরও ভয়াবহ। মোট ২৪২ রান করেছেন। গড় ১৮.৬১। একদিনের ক্রিকেটেও তিন অঙ্কের মুখ দেখেননি। একবার মাত্র ৫০ রানের গণ্ডি পার করেন।
হাসান বলেন, ‘যেভাবে শামি এসেই প্রথম বলটা স্টাম্পে করেছেন, (সেটা ভাবাচ্ছে)। একটা ফিল্ডিং দল একটু আগেই মার খেয়ে ৩০০-৩৫০ রান হজম করে ড্রেসিংরুমে গেল আর তারপর হাইলাইটস চালু হয়ে গেল। সোজা-সোজা বল ছিল। আর ব্যাটাররা ক্রস খেলতে গিয়ে আউট হয়ে যাচ্ছিল। ক্রিজে দাঁড়িয়ে ম্যাথিউজ দেখছিল যে এটা কী হচ্ছে। শামির প্রথম যে বলটা এলবিডব্লুউ হয়েছে, সেটা ক্রস খেলতে গিয়েছিল ব্যাটার। তাই আমার মনে হচ্ছে যে বলের পরীক্ষা করা উচিত।’
হাসান সেইসব প্রশ্ন তুললেও বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বকালের সেরা বোলার ওয়াসিম আক্রম থেকে শুরু করে প্রাক্তন নিউজিল্যান্ডের তারকা সাইমন ডুলরা ভারতীয় বোলারদের দক্ষতায় মুগ্ধ হয়েছেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শামি, বুমরাহদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে ভারতীয় বোলারদের ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন আক্রম। শুধু তাই নয়, 'সুলতান অফ সুইং’ তো বলেছিলেন যে নয়া বলে নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে তাঁর থেকে এগিয়ে আছেন বুমরাহ।
আরও পড়ুন: ICC World Cup 2023: সকলেই ‘হিরো’, পার্টনারশিপ বোলিং- কোন ৭ কারণে বিশ্বকাপের ৭ ম্যাচে ৭ জয় পেল ভারত?