শুক্রবার লখনউয়ের একানা স্টেডিয়ামে এলএসজি-র বিরুদ্ধে আইপিএল ২০২৫-এর ম্যাচে মুম্বইয়ের তিলক বর্মা রিটায়ার্ড আউট হন। তিলককে তুলে নেওয়ার পরেও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচ হারে লখনউয়ের কাছে। তার পরেই জোর বিতর্ক দেখা দেয় মুম্বই টিম ম্যানেজমেন্টের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে।
এমন পরিস্থিতিতে দেখে নেওয়া যাক রিটায়ার্ড আউটের নিয়ম। রিটায়ার্ড আউট ও রিটায়ার্ড হার্টের মধ্যে তফাৎ কী, জেনে নেওয়া যাক তাও। আইপিএলের আঙিনায় প্রথমবার কবে রিটায়ার্ড আউটের ঘটনা চোখে পড়ে, জেনে নেওয়া যাক সেই তথ্যও।
রিটায়ার্ড আউটের নিয়ম
এমসিসি তথা আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী কোনও ব্যাটসম্যান ম্যাচের মাঝে ডেড-বল পরিস্থিতিতে আম্পায়ারকে জানিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেন। অর্থাৎ, স্বেচ্ছায় নিজেকে আউট ঘোষণা করার অধিকার রয়েছে ব্যাটসম্যানের।
রিটায়ার্ড হার্ট ও রিটায়ার্ড আউটের পার্থক্য
কোনও ব্যাটসম্যান চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হলে সেক্ষেত্রে তাঁকে রিটায়ার্ড হার্ট হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যাটসম্যান সেক্ষেত্রে নট-আউট থাকেন। তিনি পরে পুনরায় ব্যাট করতে নামতে পারেন। যদি নতুন করে ব্যাট করতে নাও নামেন, তবে তাঁকে নট-আউট ধরে নিয়েই তাঁর ব্যাটিং গড় নির্ধারণ করা হয়।
তবে ব্যাটসম্যান স্বেচ্ছায় মাঠ ছাড়লে রিটায়ার্ড আউট বলে ধরে নেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটার আর ব্যাট হাতে মাঠে ফিরতে পারেন না।
আইপিএলে প্রথমবার কবে দেখা যায় রিটায়ার্ড আউট
২০২২ সালে আইপিএলের ইতিহাসে প্রথমবার দেখা যায় রিটায়ার্ড আউটের ঘটনা। আইপিএলের ইতিহাসের প্রথম ব্যাটার হিসেবে রিটায়ার্ড আউট হন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে লড়াই ছিল রাজস্থান রয়্যালস ও লখনউ সুপার জায়ান্টসের মধ্যে। সেই ম্যাচে রাজস্থানের হয়ে ৬ নম্বরে ব্যাট করতে নামেন অশ্বিন। তিনি ২টি ছক্কার সাহায্যে ২৩ বলে ২৮ রান করে স্বেচ্ছ্বায় ক্রিজ ছাড়েন। ব্যাট করতে নামেন রিয়ান পরাগ। রাজস্থান সেই ম্যাচে অশ্বিনের স্বার্থত্যাগের পুরস্কার পায়। তারা লখনউকে ৩ রানে পরাজিত করে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার লখনউয়ের বিরুদ্ধে আইপিএল ২০২৫-এর ম্যাচে জয়ের জন্য যখন ৭ বলে ২৪ রান দরকার ছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের, হার্দিক পান্ডিয়ারা ক্রিজের সেট ব্যাটার তিলক বর্মাকে রিটায়ার্ড আউট ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর বদলে ব্যাট হাতে ক্রিজে আসেন মিচেল স্যান্টনার। লখনউয়ের ৮ উইকেটে ২০৩ রানের জবাবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স শেষমেশ আটকে যায় ৫ উইকেটে ১৯১ রানে। ফলে ১২ রানে ম্যাচ হেরে মাঠ ছাড়তে হয় এমআইকে।