পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৮.৪ ওভারের মধ্যেই পাকিস্তান দল মাত্র ৯১ রানে গুটিয়ে যায়। নিউজিল্যান্ড এই ছোট লক্ষ্য মাত্র ১০.১ ওভারে তোলে। সেই সময়ে ৯ উইকেট হাতে রেখেই তারা সহজেই রান তাড়া করে জয় পেয়ে যায়।
এ দিনের ম্যাচের পর, নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক মাইকেল ব্রেসওয়েল ম্যাচ নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি দর্শকদের প্রশংসা করেন এবং বলেন যে কাইল জেমিসনকে চতুর্থ ওভার করানো কঠিন হয়ে পড়েছিল কারণ তিনি প্রস্তুত ছিলেন। ব্রেসওয়েলের মতে, যদি তিনি জেমিসনকে তার শেষ ওভারটি করিয়ে নিতেন, তাহলে পাকিস্তানকে আরও কম রানে আটকে রাখা সম্ভব হতো।
আরও পড়ুন …. ইংল্যান্ড সফরে ভারতকে কি নেতৃত্ব দেবেন রোহিত শর্মা? IPL 2025-র শুরুর আগেই সামনে আসছে বড় খবর
মাইকেল ব্রেসওয়েল বলেন, ‘একজন অধিনায়ক হিসেবে দর্শকদের সামনে এমন পারফরম্যান্স দেখা দারুণ অনুভূতির। আমরা ঘরোয়া ক্রিকেটে এদের (পেসারদের) বিরুদ্ধে খেলেছি, তাদের সঙ্গে একই দলে থাকা পাকিস্তানের জন্য সত্যিই কঠিন ছিল এবং তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। কাইলকে চতুর্থ ওভারে আনতে পারিনি, সে প্রস্তুত ছিল এবং বল হাতে তৈরি ছিল। হয়তো আমরা আরও কম রানে পাকিস্তানকে গুটিয়ে দিতে পারতাম, কিন্তু টি-টোয়েন্টির মতো ছোট ফরম্যাটে বোলারদের ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে ব্যবহার করা সবসময় একটা চ্যালেঞ্জ।’
আরও পড়ুন …. IPL 2025: ব্যাক টু ব্যাক হাফ সেঞ্চুরি! SRH জার্সি গায়ে অনুশীলনে ঝড় তুলেছেন ইশান কিষান
প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ কাইল জেমিসনের প্রতিক্রিয়া
ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় কাইল জেমিসন ম্যাচ নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। তিনি জানান, নিজের দেশেই এমন কন্ডিশনে বোলিং করতে পারা ছিল দারুণ অভিজ্ঞতা এবং সতীর্থ বোলারদেরও তিনি প্রশংসা করেন। কাইল জেমিসন বলেন, ‘নিজের দেশে খেলা দারুণ অনুভূতির। আমরা (আমি এবং ডাফি) এই কন্ডিশনে খেলতে পেরে আনন্দিত, এখানে আমাদের কাজ সহজ হয়ে গিয়েছিল। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আমরা সবসময়ই ধ্বংসাত্মক পরিকল্পনা করি, কিছু বল মাঠের বাইরে যাবেই। এটাই স্বাভাবিক, কিন্তু এই কন্ডিশনে আমরা সেটাকে ভালোভাবে কাজে লাগাতে পেরেছি। আমাদের দলে দারুণ গভীরতা আছে, অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় রয়েছে যারা এই কন্ডিশন ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারে। এটা ছিল নিখুঁত দলীয় পারফরম্যান্স।’
কাইল জেমিসন আরও বলেন, ‘জ্যাকব ডাফি অসাধারণ বোলিং করেছেন, বিশেষ করে ইনিংসের শুরুতে এবং শেষে। জাক (ফল্কস) দারুণ করেছে, সব মিলিয়ে বোলারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ছিল।’
আরও পড়ুন …. WPL 2025 জয়ের পরে MI-এর ক্যাবিনেটে কতগুলো ট্রফি হল? মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ফাইনালের রেকর্ড কী?
নতুন নেতৃত্বে পাকিস্তানের ব্যর্থতা
পাকিস্তান দলের নতুন অধিনায়ক সলমন আলি আঘার নেতৃত্বে পাকিস্তান নতুন যুগের সূচনা করতে চাইলেও প্রথম ম্যাচেই বিশাল পরাজয়ের সম্মুখীন হন। কিউয়ি পেসার জ্যাকব ডাফি এবং কাইল জেমিসনের আগ্রাসী স্পেলে পাকিস্তান পুরোপুরি ব্যাকফুটে চলে যায়। দলে তিনজন নতুন খেলোয়াড় ছিলেন। হাসান নওয়াজ, আব্দুল সামাদ এবং পেসার মহম্মদ আলি। তবে হাসান নওয়াজ ও আব্দুল সামাদ এক অঙ্কের রানেই আউট হয়ে যান, আর দল ৯ উইকেটে বড় পরাজয় বরণ করে। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটিতে পাকিস্তান ঘুরে দাঁড়াতে পারে কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।