বুধবারই নতুন বছরের প্রথম দিনে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন বিনোদ কাম্বলি। কয়েক দিন আগেই তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ২১ ডিসেম্বর তাঁকে থানের আক্রুতি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল মূত্রনালিতে সমস্যার কারণে। পরে তাঁর মাথায় অর্থাৎ ব্রেনে রক্ত জমাট বেঁধেছে বলে জানতে পারা যায়। অবশেষে সুস্থ করে তাঁকে বাড়ি পাঠালেন চিকিৎসকরা।
ভারতীয় দলের টি২০ জার্সি পড়ে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসেন জাতীয় দলের হয়ে খেলা এই প্রাক্তন ক্রিকেটার। আক্রুতি হাসপাতালের ডিরেক্টর এবং বিনোদ কাম্বলির বড় সমর্থক ডাক্তার শৈলেশ ঠাকুর তাঁকে গাড়ি পর্যন্ত তুলে দেন। ক্রিকেট ব্যাট নিয়ে কয়েকটি শটও খেলেন বিনোদ কাম্বলি, যা দেখে তাঁর ভক্তরা অত্যন্ত খুশি হন। ঠাকুর জানান, বিনোদ কাম্বলি আগের থেকে ভালো আছে, তাই বাড়ি ফিরতে দেওয়া হচ্ছ।
আরও পড়ুন- এক বছরে টেস্টে ১৪৭৮ রান! যশস্বী টপকালে সানি-বীরুকে! শীর্ষে এখনও সচিন তেন্ডুলকর, কত রান?
বিনোদ কাম্বলি হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে বলেন, ‘এই চিকিৎসক আমায় সুস্থ করে তুলেছে। আমি বলেছিলাম, সুস্থ হয়েই আমি ফিরব। আমি শিবাজি পার্কে গিয়ে মানুষকে দেখাতে চাই, বিনোদ কাম্বলি কখনই ক্রিকেট ছাড়বে না। আমাকে হাসপাতালেও এরা ক্রিকেট খেলতে দিয়েছে, আমি সেখানে শুধুই চার আর ছয় মেরেছি। সবাই নতুন বছর উপভোগ করো আর কেউ মদ্যপান করো না ’।
আরও পড়ুন-Video-ফের ল্যাবুশানের সঙ্গে বেল নিয়ে তুকতাক সিরাজের! কাজে এল! তবে এবার আউট
৫২ বছর বয়সী বিনোদ কাম্বলির বিরুদ্ধে বারবারই অভিযোগ উঠেছে মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপানের। যার জেরে তিনি বারবার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলেও জানা গেছে। বহুবার রিহ্যাবে গিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তাই ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী দলের অনেক সদস্য কাম্বলির চিকিৎসায় এগিয়ে আসলেও মদ্যপানের বিষয়টা নিয়ে তাঁরাও বিরক্তই ছিলেন। থানের আক্রুতি হাসপাতাল এরপর বিনামুল্যেই কাম্বলির চিকিৎসার কথা জানায়।
আরও পড়ুন- নিজামের শহরে দাদাগিরি! সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে বাংলা! গতবারের চ্যাম্পিয়ন সার্ভিসেসকে ৪-২ গোলে হারাল…
জাতীয় দলের জার্সিতে সচিন তেন্ডুলকরের প্রাক্তন ব্যাটিং পার্টনার খেলেছেন ১২১টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ১৭টা টেস্ট ম্যাচে তিনি করেছেন ১০৮৪ রান। ১৯৯১ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন এই ওপেনিং ব্যাটার। ১৯৯৩ সালে ইংল্যান্ড এবং জিম্বাবোয়ের বিপক্ষে দ্বিশতরানও ছিল বিনোদ কাম্বলির। ১০৪টি ওডিআইতে ২৪৭৭ রান করেছেন তিনি।