ক্রিস গেইল যখন তার সেরা ফর্মে ছিলেন, তখন তাঁকে বিশ্বের সবচেয়ে বিধ্বংসী ব্যাটসম্যানদের একজন বলা হত। একটা সময়ে ক্যারিবিয়ানদের পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী ক্রিকেট ভক্তদের প্রিয় হয়ে ওঠেন ক্রিস গেইল। সমর্থকেরা তাঁকে ভালোবেসে ‘ইউনিভার্স বস’ নামে ডাকতে শুরু করেন। ভারতে তার জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী, বিশেষ করে আরসিবির হয়ে আইপিএলে তার অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্সের কারণে গেইল সকলের প্রিয় হয়ে ওঠেন। ‘ইউনিভার্স বস’ কে অবশ্য তাঁর সময়কার প্রায় সব বোলারই ভয় পেতেন।
তবে ক্রিস গেইল এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন এবং বর্তমানে খেলছেন ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার্স টি-টোয়েন্টি লিগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে। প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হলেও, দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পুরনো দিনের ঝলক দেখালেন ক্রিস গেইল। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান এই ম্যাচে মাত্র ১৯ বলে ৩৯ রান করে ফের একবার ব্যাট হাতে দর্শকদের সামনে নিজের বিধ্বংসী রূপটা তুলে ধরলেন।
এই ম্যাচর প্রথম দুই ওভারে কিছুটা নীরব ছিল ক্রিস গেইলের ব্যাট। তবে এরপরই তিনি ইংল্যান্ডের পেসার রায়ান সাইডবটমের বিরুদ্ধে ঝড় তুললেন।প্রথম ছক্কাটি আসে একটি ফুললেংথ ডেলিভারিতে, যা অফ স্টাম্পের বাইরে সামান্য সুইং করছিল। গেইল দাঁড়িয়ে থেকে বিশাল এক ছক্কা হাঁকালেন লং অফের উপর দিয়ে।
সাইডবটম এরপর লাইন বদলে স্টাম্প টার্গেট করলেও, গেইলের আর্কের মধ্যে পড়ে যায়। ফলাফল একটি এফোর্টলেস ফ্লিক, যা সোজা উড়ে যায় ডিপ মিড-উইকেটের ওপারে ছক্কা হয়ে। এই ধ্বংসাত্মক ব্যাটিং দেখে ভক্তদের তাঁর অতীতের কথা মনে পড়ে যায়। যখন গেইল আরসিবির হয়ে তার সোনালি দিনে পারফর্ম করতেন ভক্তেরা সেই কথা তুলে ধরেন।
ক্রিস গেইল এ দিনের ম্যাচে ১৯ বলে ৩৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। ছোট ইনিংসে গেইল ৪টি বিশাল ছক্কা এবং ৩টি বাউন্ডারি হাঁকান। তার বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শক্তিশালী ইংলিশ বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত শুরু করে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইতিমধ্যেই একটি জয় পেয়েছে এবং তারা জয়ের ধারা ধরে রাখতে চাইবে। অন্যদিকে, ইংল্যান্ড তাদের প্রথম ম্যাচে হারের পর জয়ের খোঁজে রয়েছে। এ দিনের ম্যাচে প্রথমে ব্য়াট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ মাস্টার্স ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৯ রান তোলে। জবাবে ১২.১ ওভারে ৮৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়েছে ইংল্যান্ড।