একা রিঙ্কু সিংই নন, বরং রঞ্জি মরশুমের শুরুতেই ব্যাট হাতে নজর কাড়লেন কেকেআরের আরও এক তারকা ক্রিকেটার বেঙ্কটেশ আইয়ার। উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে রঞ্জি ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরির গণ্ডি টপকে যান আইয়ার। তবে রিঙ্কুর মতোই সেঞ্চুরি করার সুযোগ হাতছাড়া করেন বেঙ্কটেশ।
মূলত বেঙ্কটেশ আইয়ার ও সরাংশ জৈনের ব্যাটে ভর করে মধ্যপ্রদেশ তাদের প্রথম ইনিংসে ৩০০ টপকে লড়াই করার রসদ জোগাড় করে নেয়। পরে কুমার কার্তিকেয়ার দাপুটে বোলিংয়ের সুবাদে উত্তরাখণ্ডের ব্যাটারদের ছড়ি ঘোরাতে দেয়নি এমপি।
দেরাদুনের অভিমন্যু ক্রিকেট অ্যাকাডেমি মাঠে এলিট গ্রুপ-ডি'র ম্যাচে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে মধ্যপ্রদেশ। তারা প্রথম দিনের খেলা শেষ করে ৭ উইকেটে ২৯১ রান তুলে। দ্বিতীয় দিনে তার পর থেকে খেলতে নেমে মধ্যপ্রদেশ তাদের প্রথম ইনিংস শেষ করে ৩২৩ রানে।
পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে বেঙ্কটেশ আইয়ার ৮টি বাউন্ডারির সাহায্যে মাত্র ৫৪ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। যখন শতরান কার্যত বাঁধা দেখাচ্ছে আইয়ারের, মুহূর্তের ভুলে উইকেট দিয়ে আসেন তিনি। ১৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১১০ বলে ৮৯ রান করে মাঠ ছাড়েন বেঙ্কটেশ।
সরাংশ ৭টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১২৫ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। তিনি শতরানের গণ্ডি টপকান ১১টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ২৩৭ বলে। শেষমেশ ২৩৯ বলে ১০০ রান করে মাঠ ছাড়েন জৈন। এছাড়া যশ দুবে ১৫, শুভম শর্মা ২৯, আদিত্য শ্রীবাস্তব ১৬, মিহির হিরওয়ানি ২২ ও অনুভব আগরওয়াল ২০ রান করেন। উত্তরাখণ্ডের হয়ে প্রথম ইনিংসে ৫৬ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট নেন স্বপ্নিল সিং।
পালটা ব্যাট করতে নেমে উত্তরাখণ্ড দ্বিতীয় দিনের শেষে তাদের প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৭০ রান তোলে। ৭টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৫ বলে ৪৫ রান করে আউট হন আদিত্য তারে। ৪টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১২৩ বলে ৪৪ রান করে অপরাজিত থাকেন দীক্ষাংশু নেগি। ৪টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৭৭ বলে ৩৩ রান করেন অবনীশ সুধা।
মধ্যপ্রদেশের হয়ে এ পর্যন্ত প্রথম ইনিংসে ৩৭ ওভার বল করে ৭টি মেডেন-সহ ৫১ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট দখল করেন কুমার কার্তিকেয়া। ১টি উইকেট নেন সরাংশ। অল-রাউন্ডার হলেও বেঙ্কটেশ আইয়ার প্রথম ইনিংসে এখনও পর্যন্ত বল হাতে নেননি।