ভারতীয় ক্রিকেট দলের এক সময়ের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার ছিলেন ভিভিএস লক্ষ্মণ। সেই লক্ষ্মণকেই ২০০৩ বিশ্বকাপের সময় ভারতীয় ওডিআই দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় তাঁর পরিবর্তে দিনেশ মোঙ্গিয়াকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল দঃ আফ্রিকায় বিশ্বকাপ খেলতে। সেই সময় যেহেতু সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় অধিনায়ক ছিলেন, তাই দল থেকে বাদ পড়ার পর অধিনায়কের ওপর রাগ করে তাঁর সঙ্গে কথা বলাই নাকি বন্ধ করে দিয়েছিলেন ভেরি ভেরি স্পেশাল লক্ষ্মণ। ২০০২ সালের ডিসেম্বরে সৌরভের চাপেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নির্বাচকরা, যা নিয়ে সেই সময় তুমুল বিতর্কও তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত সেবার ভারতীয় দল বিশ্বকাপের ফাইনালও খেলে।
সেই সিদ্ধান্তটি ভিভিএস লক্ষ্মণকে এতটাই আঘাত দিয়েছিল, যে তিন মাস সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে কোনও কথাই বলেননি ভারতীয় দলের এই ক্রিকেটার। সেই সময় অবশ্য লক্ষ্মণের ওডিআই রেকর্ডও তেমন ভালো ছিল না। ১২৪০ রান তিনি করেছিলেন মাত্র ২৭.৫৫ গড় এবং ৬৭ স্ট্রাইক রেটে।
সেদিনের স্মৃতি নিয়েই পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায় বলছিলেন, ‘অনেক সময়ই ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দিলে তাঁরা অখুশি হয়। ভিভিএস লক্ষ্মণ তো বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়ে আমার সঙ্গে তিন মাস কথাই বলেনি। তারপর আমি ওর সঙ্গে কথা বলি, যে কেউ বিষয়টায় হতাশই হবে। এটা হওয়াই স্বাভাবিক। তবে বিশ্বকাপে আমরা ভালো খেলায় ও খুশি হয়েছিল। আমরা ভারতে ফেরার পর ও আবার ওডিআই দলে প্রত্যাবর্তন করেছিল। পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ায় দুরন্ত ছন্দ দেখিয়েছিল, প্রথমবার পাকিস্তানে আমরা সিরিজ জিতেছিলাম, সেবার ভিভিএস ভালো অবদান রেখেছিল। ও জানত, যে সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি, সেটা কোনও ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নয়, দলের স্বার্থেই নেওয়া সিদ্ধান্ত ’।
কয়েকমাস আগে সেই সময়ের নির্বাচক কিরণ মোরে জানিয়ে ছিলেন, নির্বাচকদের প্রত্যেকেই লক্ষ্মণকে বিশ্বকাপের দলে রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কোচ জন রাইট এবং অধিনায়ক সৌরভ চেয়েছিলেন মোঙ্গিয়ার অলরাউন্ড পারফরমেন্সের জন্য তাঁকে নিয়ে যেতে বিশ্বকাপে। ভিভিএসকে মিডল অর্ডার ব্য়াটার হিসেবে নিলেও সৌরভই বলেছিলেন, যাতে একজন অলরাউন্ডার নেওয়া হয়। এরপর নির্বাচকদের সঙ্গে নাকি ২ বছর ভিভিএস লক্ষ্মণ কোনও কথা বলেননি।