ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ হওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন প্রাক্তন বোর্ড সভাপতি তথা প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। যদিও এখনই তিনি কোচ হতে চান না। ভবিষ্যৎে কখনও সুযোগ এবং সময় এলে তিনি নিশ্চয় এই পদ গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন বাংলার মহারাজ। অতীতে বিসিসিআইয়ের সভাপতি ছিলেন প্রিন্স অফ ক্যালকাটা। এছাড়াও দীর্ঘদিন কোচিং বা মেন্টরশিপের কাজে যুক্ত রয়েছেন তিনি।
আইপিএলের দল দিল্লি ক্যাপিটালসের সঙ্গে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের অনেকদিনের সম্পর্ক রয়েছে। তিনি সেই দলের ক্রিকেটারদের অনেক সময়ই পরামর্শ দিয়ে থাকেন, যদিও এবারে তিনি দিল্লির ফ্র্যাঞ্চাইজির পুরুষ দলের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন না। তবে বরাবরই কোচিংয়ের রোলের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন মহারাজ। তাই সুযোগ আসলে তিনি তৈরি বিরাট, রোহিত পরবর্তী অধ্যায়ে ভারতীয় ক্রিকেটের কোচের ব্যাটন হাতে তুলে নিতে।
সম্প্রতি পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, ‘আমি কখনই ভাবনা চিন্তা করিনি এই নিয়ে, কারণ আমি আরও অনেকগুলো কাজের সঙ্গে জড়িত রয়েছি। ২০১৩ সালে আমি ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিল এরপর বিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট হয়েছি। ভবিষ্যৎে কি হবে, সেদিকেই তাকিয়ে থাকব। এখন আমার বয়স ও ৫০ মতো, তাই দেখা যাক ভবিষ্যৎে কি হয়। তবে আমি এই কাজের জন্য তৈরি আছি, কি হয় দেখা যাক ’।
২০১৮-১৯ সালে দিল্লি ক্যাপিটালসের টিম ডিরেক্টর ছিলেন মহারাজ, এরপর ২০২২-২৪ সাল পর্যন্তও একই দায়িত্বে ছিলেন তিনি। নিজের কাজ নিয়েই কথা বলতে গিয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি অনেক পদেই কাজ করেছি, তবে আমার সব থেকে বেশি অবদান প্রশাসক হিসেবে বোধহয় মহিলা ক্রিকেটের প্রসার বাড়ানোয় কাজে এসেছে ’।
সামনেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। পাঁচ বছর আগেও মহারাজকে নিয়ে অনেক জল্পনা হয়েছিল, এবারে কি ভোটের ময়দানে তাঁকে দেখা যাবে? সৌরভ সটান বাপি বাড়ি যা স্টাইলে এই প্রশ্ন উড়িয়ে বলছেন, তিনি একদমই রাজনীতিতে আসতে রাজি নন। সেই যেই পদের প্রস্তাবই তাঁর কাছে আসুক না কেন।
এরপর গৌতম গম্ভীরকেও নিয়েও বিসিসিআইয়ের প্রাক্তন সভাপতি বলেন, ‘গম্ভীর ভালোই কাজ করছে। শুরুটা একটু ধীরে করেছিল ও, অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হেরে কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকেই ও খেলাটা ধরে নিয়েছে। ইংল্যান্ড সিরিজও খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে ওর কাছে। আমি ওর ট্যাকটিক্স নিয়ে বেশি কিছু বলব না, তবে ও নিজের কাজের বিষয়ে খুব আবেগপ্রবণ। ও খুবই সোজাসাপটা কথা বলে, আর যেটা মনে থাকে সেটাই ওর মুখে থাকে। সেটা খেলায়র নিয়ে হোক, বা দল নিয়ে। বাইরে থেকে বলাই যায়, যে ও খুব স্বচ্ছ ব্যক্তি। যখন একসঙ্গে খেলতাম, তখনও ও খুব সম্মান করত আমায় আর সিনিয়র ক্রিকেটারদের। এখনও কাজের বিষয়ে ও খুবই আবেগপ্রবণ। সবে এক বছর হয়ে এই কাজে যোগ দিয়েছে, তাই ওকে সময় দিতে হবে। ইংল্যান্ড সফর ওর জন্যেও খুব গুরুত্বপূর্ণ। অস্ট্রেলিয়ায় ওর একটু সমস্যা হয়েছে, তবে সবার মতোই ও শিখবে। আর নিজের আরও উন্নতি করবে ’।