শুভব্রত মুখার্জি: টি২০ বিশ্বকাপের কয়েক মাস আগেই পাকিস্তান দলের অধিনায়ক পরিবর্তন করা হয়। মাত্র একটি সিরিজে অধিনায়ক থাকার পরেই সরানো হয় শাহিন শাহ আফ্রিদিকে। গত ওডিআই বিশ্বকাপের খারাপ পারফরম্যান্সের পরে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়া বাবর আজমের হাতে ফের সাদা বলের ফর্ম্যাটের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়। নয়া অধিনায়ক হিসেবে বাবর আজমের নাম ঘোষণার পরপরই নাকি শাহিনের সঙ্গে বাবর, এমন কী পিসিবির বড়সড় মনোমালিন্য হয়। পিসিবি চেয়ারম্যান নিজে ঘটনায় হস্তক্ষেপ করেন। তার পরেই এই ঘটনা থামে বলে জানা যায়। যদিও প্রকাশ্যে কোনও পক্ষ মন্তব্য করেনি। এই ইস্যুতেই এবার মুখ খুলেছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। তাঁর মতে, দলের অন্দরে কোনও রকমের কোনও সমস্যা নেই। ছোট্ট মতানৈক্য রয়েছে বলে দাবি তাঁর।
আরও পড়ুন: সব দলে বুমরাহ বা রশিদ নেই- ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম নিয়ে রোহিতের সুরে সুর মেলালেন কোহলি
পিসিবির পডকাস্টে শাহিনের দাবি, কোনও বড় টুর্নামেন্ট জিততে গেলে দলগত ঐক্য খুব প্রয়োজন। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, ছোটখাটো মতানৈক্য থাকবেই। তা প্রতিটি দলেই থাকে। এই বিষয়কে এত বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই। শাহিন বলেন, ‘প্রতিটি পরিবারেই ছোটখাটো মতানৈক্য ঘটে। এটা নতুন কিছু নয়। ভাইদের মধ্যেও এমন ঘটনা ঘটে। আমাদের দলে এমন কোনও সমস্যা নেই। আমাদের ক্রিকেটাররা প্রত্যেকেই প্রত্যেকের কথা শোনে। আমাদের কাজ হল, দেশের হয়ে ভালো ক্রিকেটটা খেলা। সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটানো আমাদের সব থেকে বড় কাজ। আমাদের লক্ষ্য হল দলগত সংহতি বজায় রেখে নিজেদের সেরাটা নিংড়ে দেওয়া। এটা একে অপরের সঙ্গে ঝগড়া বা তর্কাতর্কি করার সময় নয়। এই সময়ে প্রত্যেকের উচিত প্রত্যেকের পাশে থাকা।’
পাকিস্তান সবে তাদের আয়ারল্যান্ড সফর শেষ করেছে। যেখানে তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজে তারা প্রথম ম্যাচ হেরে গেলেও, দুরন্ত কামব্যাক করেছে। সিরিজ তারা ২-১ ফলে জিতে নিয়েছে। তাদের পরবর্তী গন্তব্য ইংল্যান্ড। সেখানে তারা পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলবে। তার পরেই তারা উড়ে যাবে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে শুরু হবে তাদের বিশ্বকাপের অভিযান। তাদের প্রথম ম্যাচ রয়েছে ৬ জুন। আয়োজক দেশ আমেরিকার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে তারা। টি২০ বিশ্বকাপে নিজের প্রস্তুতি সম্বন্ধে বলতে গিয়ে শাহিন বলেছেন, ‘আমি ভালো ছন্দে এবং গতিতে বোলিং করছি। আমি আমার বোলিং উপভোগ করছি। এখন টি২০-র জমানাতে একটা না একটা দিন সব বোলারের খারাপ যায়। এটা বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জটাকে স্বীকার করতে হবে।’