মাসের শুরুতেই পঞ্জাব কিংসের ক্যাপ্টেন হিসেবে আইপিএল ২০২৫-এর ফাইনালে হারের মুখ দেখতে হয় শ্রেয়স আইয়ারকে। দিন দশেকের মধ্যেই আরও একটি টুর্নামেন্টের ফাইনালে দলকে নেতৃত্ব দিতে নামেন শ্রেয়স। ভাগ্যদেবী ফের মুখ ফেরালেন আইয়ারের দিক থেকে।
বৃহস্পতিবার মুম্বই টি-২০ লিগের ফাইনালে সম্মুখসমরে নামে শ্রেয়স আইয়ারের নেতৃত্বাধীন মুম্বই ফ্যালকনস ও সিদ্ধেশ ল্যাডের সাউথ সেন্ট্রাল মারাঠা রয়্যালস। খেতাবি লড়াইয়ে পরাজিত হয় ফ্যালকনস। ফলে ফের রানার্স দলের নেতা হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় শ্রেয়সকে।
ওয়াংখেড়ের ফাইনালে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে মুম্বই ফ্যালকনস। তারা দাপুটে ব্যাটিং করতে ব্যর্থ হয়। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৭ রান সংগ্রহ করে ফ্যালকনস। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন ওপেনার অংকৃষ রঘুবংশী ও ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আইয়ার।
ফাইনালে রান পেলেন না শ্রেয়স আইয়ার
রঘুবংশী ১২ বলে ৭ রান করে আউট হন। শ্রেয়স ১৭ বলে ১২ রান করে সাজঘরে ফেরেন। দুই তারকার কেউই কোনও বাউন্ডারি মারতে পারেননি। ফ্যালকনসের হয়ে হাফ-সেঞ্চুরি করেন ময়ূরেশ টান্ডেল। তিনি ৩টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৩২ বলে ৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ২৮ বলে ৪৫ রান করে নট-আউট থাকেন হর্ষ আঘব।
এছাড়া ইশান মুলচন্দনি ২০ ও অমোঘ ভাটকল ১৬ রানের যোগদান রাখেন। রয়্যালসের হয়ে ৩২ রানে ২টি উইকেট নেন বৈভব মালি। ১টি করে উইকেট সংগ্রহ করেন আদিত্য ধুমল ও ম্যাক্সওয়েল স্বামীনাথন।
চ্যাম্পিয়ন মারাঠা রয়্যালস
পালটা ব্যাট করতে নেমে মারাঠা রয়্যালস ১৯.২ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৮ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ৪ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় রয়্যালস। ৪৯ বলে ৫৩ রান করেন চিন্ময় সুতার। মারেন ২টি চার ও ২টি ছক্কা। ২৪ বলে ৩৮ রান করেন নৌশাদ। তিনি ৩টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন।