সস্ত্রীক সচিন তেন্ডুলকর সম্প্রতি গেছিল অভিনেতা, পরিচালক আমির খানের বাড়িতে। আমির খানের নতুন ছবি সিতারে জামিন পর-র প্রিমিয়রেরই তাঁর বাড়িতে গেছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার্স। আর সেখানে বিশ্বক্রিকেটের সর্বকালের অন্যতম সেরা এই নায়ক প্রবেশ করা সঙ্গে সঙ্গেই সবার আকর্ষণ তখন চলে আসে লিটল মাস্টারের দিকেই। অজান্তেই সবাই যেন ভুলে যাচ্ছিলেন, এটা ছবির প্রিমিয়র না ক্রিকেটের কোনও অনুষ্ঠান। কারণ সচিন তেন্ডুলকর তো খুব একটা ছবির প্রিমিয়র বা এই ধরণের অনুষ্ঠানে যান না।
এমনিতে ওয়াঙ্খেড়ে বা মুম্বইতে সচিনকে কোথায় দেখা গেলেই, তাঁর প্রীয় সমর্থকরা লিটল মাস্টারের নামে আজও জয়ধ্বনি দিয়ে থাকেন, খেলা ছাড়ার এক দশেকর বেশি সময় পরও। আর একইরকম চিত্র দেখা গেল আমির খানের বাড়িতে সিতারে জামিন পার-র প্রিমিয়রে গিয়ে লিটল মাস্টার উপস্থিত হতেই। সবাই সচিন-সচিন স্লোগান দেওয়া শুরু করে দেন, যেমনটা তাঁর ক্রিকেট খেলার সময় দিত সকলে।
ভারতীয় ক্রিকেটের শুধু নয়, আধুনিক ক্রিকেটবিশ্বের তারকারাও লিটল মাস্টারকে একটা অন্য চোখে দেখে। আর ভারতীয় ক্রিকেটারদের কাছে তো মাস্টার ব্লাস্টার্স অনেকটা ক্রিকেট ঈশ্বরের মতো। আমিরের বাসভবনে গিয়ে এমন উষ্ণ অভ্যর্থনা পাওয়ার পর সচিনও তা উপভোগ করেন। এরপর হাত নাড়িয়ে এবং আলিঙ্গন করে ধন্যবাদ জানানোর চেষ্টা করেন এমন ভালোবাসা অপ্যায়নের জন্য। সেই ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গেছে সোশাল মিডিয়ায় সিনেপ্রেমি এবং ক্রিকেটভক্তদের মধ্যে। স্ত্রী অঞ্জলি এবং সচিনের সঙ্গেই সেই ভিডিয়োতে দেখা যায় রাজ ঠাকরেকেও।
তেন্ডুলকরের সঙ্গে আমির খানের বরাবরই খুব ভালো সম্পর্ক। দুই তারকা একদম ভিন্ন দুই জগৎ থেকে হলেও বরাবরই একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। ছবির প্রিমিয়র হোক বা ক্রিকেটের ম্যাচ দেখতে, বারবরই একে অপরের পাশে থাকতে দেখা গেছে তাঁদের। সেটা বিশ্বকাপের মঞ্চ হোক বা আইপিএল বা সিতারে জামিন পর ছবির প্রিমিয়রে। আসলে আমির খান এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে সচিন তেন্ডুলকরকে আরেক ছবি ‘Loveyaapa’- প্রিমিয়রেও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
সম্প্রতি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ডাগআউটে সচিন তেন্ডুলকরকে দেখা গেছিল আইপিএলে। এবারের আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স প্লে অফ পর্যন্ত গেলেও শেষ পর্যন্ত কোয়ালিফায়ার টু-তে হেরে বিদায় নেয়। প্রসঙ্গত আসন্ন ইংল্যান্ড বনাম ভারতের টেস্ট সিরিজের ট্রফির নামকরণও করা হয়েছে মাস্টার্স ব্লাস্টার্সের নামেই। এবার থেকে ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের ট্রফিকে বলা হবে তেন্ডুকর-অ্যান্ডারসন ট্রফি।