সারা টুর্নামেন্টে ব্যাটে-বলে দলকে নির্ভরতা দেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তবে ফাইনালে নজর কাড়তে পারেননি ডিন্ডিগুল ড্রাগনসের ক্যাপ্টেন। খেতাবি লড়াইয়ে ড্রাগনসের বাকিরাও চমক দেখাতে পারেননি। ফলে সাই কিশোরের নেতৃত্বাধীন তিরুপুর তামিলান্সের কাছে টিএনপিএল ২০২৫-এর ফাইনালে হেরে বসে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ড্রাগনস। ট্রফি হাতে তোলেন সাই কিশোর।
রবিবার তামিলনাড়ু প্রিমিয়র লিগের ফাইনালে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে তিরুপুর তামিলান্স। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ২২০ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে। হাফ-সেঞ্চুরি করেন দুই ওপেনার অমিত সাত্ত্বিক ও তুষার রাহেজা।
অমিত ৮টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৩৪ বলে ৬৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তুষার ৬টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৪৬ বলে ৭৭ রান করে ক্রিজ ছাড়েন। ক্যাপ্টেন সাই কিশোর ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন। মহম্মদ আলি ২৩ রানের যোগদান রাখেন।
ড্রাগনসের হয়ে ৪৪ রানে ২টি উইকেট নেন কার্তিক শরন। বরুণ চক্রবর্তী ৪ ওভারে ৩৯ রান খরচ করে ১টি উইকেট দখল করেন। রবিচন্দ্রন অশ্বিন ৪ ওভারে ৩৬ রান খরচ করেও কোনও উইকেট তুলতে পারেননি।
পালটা ব্যাট করতে নেমে ডিন্ডিগুল ড্রাগনস ১৪.৪ ওভারে ১০২ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ১১৮ রানের বড় ব্যবধানে ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় তিরুপুর তামিলান্স। অশ্বিন ওপেন করতে নেমে ১ রানে আউট হন। দলের হয়ে সব থেকে বেশি ২৪ রান করেন অতুল। বরুণ চক্রবর্তী ৭ রান করে ক্রিজ ছাড়েন। ৯ রান করেন বাবা ইন্দ্রজিৎ।
তিরুপুরের হয়ে ২ ওভারে ১২ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন রঘুপতি। ২ ওভারে ১৮ রান খরচ করে ২টি উইকেট দখল করেন মোহন। টি নটরাজন ২ ওভারে ১৯ রান খরচ করে ১টি উইকেট পকেটে পোরেন। উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান খরচ করেন সাই কিশোর।
ফাইনাল ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন তিরুপুরের তুষার রাহেজা। সাকুল্যে ৪৮৮ রান সংগ্রহ করে টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কারও জিতে নেন তিনি।