শনিবার রাজস্থান রয়্যালস বনাম লখনউ সুপার জায়ান্টস ম্যাচে বৈভব সূর্যবংশীর আবেগঘন আইপিএল অভিষেক হয়। ১৪ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার আইপিএলের ইতিহাসের সবচেয়ে কম বয়সী অভিষেককারী হিসেবে ইতিহাসে নাম লিখিয়ে নেন। আহত সঞ্জু স্যামসনের বদলে ইমপ্যাক্ট পরিবর্ত হিসেবে তিনি মাঠে নামেন। বৈভব তাঁর খেলা প্রথম বলেই অভিজ্ঞ শার্দুল ঠাকুরকে ছক্কা হাঁকিয়ে আইপিএল কেরিয়ারের শুরুটা স্মরণীয় করে রাখেন।
বৈভব আবেশ খানের দ্বিতীয় ওভারেও নিজের খেলা প্রথম বলেই ছক্কা মারেন। সেই ওভারে একটি চারও মারেন তিনি, যাতে সূর্যবংশী জীবনদান পান বলা যায়। সপ্তম ওভারে রবি বিষ্ণোইয়ের বলে ১টি চার মারেন বৈভব। আট নম্বর ওভারে তিনি দিগ্বেশ রাঠিকে ছক্কা মারেন এবং ১৮ বলে ৩৩ রানে পৌঁছে যান। তবে ইনিংসের নবম ওভারেই মার্করামের বলে বৈভবক স্টাম্প-আউট করেন পন্ত।
এডেন মার্করামের ধীরগতির বলে লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে তিনি ফ্লাইটে বিভ্রান্ত হন এবং শট মিস করেন। বল স্টাম্পের পাশ দিয়ে চলে যায় এবং ঋষভ পন্ত বল ধরেই স্টাম্প ভেঙে দেন। স্টাম্পিংয়ের জন্য আবেদন করার পরে টিভি আম্পায়ারের দ্বারস্ত হন ফিল্ড আম্পায়াররা। টেলিভিশন রিপ্লে দেখে বৈভবকে আউট ঘোষণা করেন টেলিভিশন আম্পায়ার। ২০ বলে ৩৪ রান করে সূর্যবংশীকে মাঠ ছাড়তে হয়। এভাবে আউট হওয়ার পরে দৃশ্যতাই হতাশ ছিলেন বৈভব। তাঁকে চোখ মুছতেও দেখা যায়। অর্থাৎ, আউট হয়ে কেঁদে ফেলেন বৈভব।
সাজঘরে ফেরার সময় কাঁদছিলেন বৈভব
ডাগ-আউটে ফিরতে ফিরতে বৈভবের চোখের জল মোছার ছবি স্বাভাবিকভাবেই ধরা পড়ে যায় ক্যামেরায়। ১৪ বছরের কিশোরের আবেগঘন মুহূর্ত মন ছুঁয়ে যায় ক্রিকেটপ্রেমীদের। ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার মুরালি কার্তিক ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় বলেন, ‘প্রথম বল খেলার সময় এবং ফেরার সময়, আমার মনে হয় ও ফোঁফাচ্ছিল। কাঁদছিল ও।’
আইপিএল অভিষেকে বৈভবের দুর্দান্ত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও রাজস্থানকে শেষমেশ ম্যাচ হেরে মাঠ ছাড়তে হয়। ফলে বৈভবের আইপিএল অভিষেক জয় দিয়ে স্মরণীয় করা হয়নি। শুরুতে ব্যাট করে লখনউ সুপার জায়ান্টস নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৮০ রান সংগ্রহ করে। পালটা ব্যাট করতে নেমে রাজস্থান রয়্যালস ৫ উইকেটে ১৭৮ রানে আটকে যায়। ২ রানের অতি সংক্ষিপ্ত ব্যবধানে পরাজিত হয় রাজস্থান রয়্যালস।