পরিসংখ্যান বলছে, গত দশ বছরে একবারও গ্রুপ লিগের গন্ডি টপকাতে পারেনি পঞ্জাব কিংস। শেষবার ২০১৪ সালে আইপিএল ফাইনালে উঠেছিল ঋদ্ধিমান সাহাদের পঞ্জাব। এরপর থেকে আর কখনও প্রথম চারেই শেষ করতে পারেনি তাঁরা, ১৭বার আইপিএলে অংশ নিয়ে মাত্র ২বার প্লে অফ বা সেমিফাইনালে খেলেছে তাঁরা, যা সত্যিই অত্যন্ত লজ্জার।
১২ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট। ২ ম্যাচ বাকি থাকতেই এবারের আইপিএল থেকে ছিটকে গেছে পঞ্জাব কিংস। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৬০ রানে হারের সঙ্গে সঙ্গেই প্লে অফের রাস্তা তাঁদের বন্ধ হয়ে গেছে। এখন তাঁদের সামনে বাকি দুটি ম্যাচ নেহাতই সম্মানরক্ষার। এই মূহূর্তে একই পয়েন্ট অর্থাৎ ৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের তলানিতে রয়েছে গুজরাট টাইটান্স। যদিও তাঁর এক ম্যাচ কম খেলেছেন, ফলে পঞ্জাবের কাছে পরের দুই ম্যাচ গুরুত্বপূ্র্ণ আইপিএলের শেষ পজিশন এড়ানোর জন্য। কিন্ত এই প্রথম নয়, বিগত দশ বছরের পরিসংখ্যান দেখলে বোঝা যায় প্রীতি জিন্টার ফ্র্যাঞ্চাইজি গত এক দশকে প্রত্যেকবারই তাঁদের দর্শকদের হতাশ করেছেন, কখনও ভুল প্লেয়ার সিলেকশন করে, অবার কখনও সঠিক প্লেয়ার ধরে রাখতে না পেরে।
পরিসংখ্যান বলছে, গত দশ বছরে একবারও গ্রুপ লিগের গন্ডি টপকাতে পারেনি পঞ্জাব কিংস। শেষবার ২০১৪ সালে আইপিএল ফাইনালে উঠেছিল ঋদ্ধিমান সাহাদের পঞ্জাব। এরপর থেকে আর কখনও প্রথম চারেই শেষ করতে পারেনি তাঁরা, ১৭বার আইপিএলে অংশ নিয়ে মাত্র ২বার প্লে অফ বা সেমিফাইনালে খেলেছে তাঁরা, যা সত্যিই ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য অত্যন্ত লজ্জার।
এমনিতেই এবারের আইপিএল নিলামেই বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল পঞ্জাব। শশাঙ্ক সিংকে নেওয়ার পর তাঁকে হঠাৎই ফিরিয়ে দিতে চেয়েছিল তাঁরা। পরে অবশ্য নিজেদের পক্ষে সাফাইও দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু এবারের আইপিএলের পারফরমেন্সের দিকে তাকালে দেখা যাচ্ছে তাঁদের দলের ব্যাটারদের মধ্যে সেরা পারফরমার শশাঙ্ক সিং। ২০২৪ আইপিএলে সর্বোচ্চ রানের তালিকায় প্রথম ২০জনের মধ্যে একমাত্র পঞ্জাব কিংস থেকে রয়েছেন আনকোরা শশাঙ্ক সিং, করেছেন ১২ ম্যাচে ৩৫২ রান। অবশ্য বোলারদের মধ্যে পঞ্জাবের হার্ষাল প্যাটেল রয়েছেন ২০ উইকেট নিয়ে পার্পেল ক্যাপে দৌড়ে সবার ওপরে।
প্রীতি জিন্টার ফ্র্যাঞ্চাইজি বহু বছর ধরেই সঠিক ক্রিকেটার না কেনা, এবং অযথা বেশি দাম দিয়ে অফ ফর্মে থাকা তারকাদের কিনতে গিয়েই নিজেদের এমন কোনঠাসা করছে। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে পরের আইপিএলে তাঁরা ঘুরে দাঁড়ায় কিনা সেটাই এখন দেখার।