রবিবার পাকিস্তান সুপার লিগের ডাবল হেডারে ধুন্ধুমার ক্রিকেটের সাক্ষী থাকলেন অনুরাগীরা। ২টি ম্যাচই নিষ্পত্তি হয় একেবারে শেষ বলে। একটি ম্যাচে শেষ দুই বলে ছয়-চার মেরে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডকে প্লে-অফে তোলেন ইমদ ওয়াসিম। অন্য ম্যাচে শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে কোয়েট্টা গ্ল্যাডিয়েটর্সকে প্লে-অফের টিকিট এনে দেন মহম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র।
মুলতান সুলতানস বনাম ইসলামাবাদ ইউনাইটেড:-
দিনের প্রথম ম্যাচে মুলতানের বিরুদ্ধে জয়ের জন্য শেষ ২ বলে ৭ রান দরকার ছিল ইসলামাবাদের। আব্বাস আফ্রদির বলে ১টি ছক্কা ও ১টি চার মারেন ইমদ ওয়াসিম এবং দলের জয় নিশ্চিত করেন।
রাওয়ালপিন্ডিতে লিগের ২৭তম ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করে মুলতান সুলতানস ২০ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ২২৮ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে। ১৫টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৫০ বলে ১০০ রান করে অপরাজিত থাকেন উসমান খান। ৩টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ১৮ বলে ৪২ রান করেন জলসন চার্লস।
ইয়াসির খান ৩৩, মহম্মদ রিজওয়ান ২০, ইফতিখার আহমেদ ১৩ ও ক্রিস জর্ডন ১৫ রানের যোগদান রাখেন। ইসলামাবাদের ফহিম আশরাফ ২টি এবং নাসিম শাহ ও হুনাইন শাহ ১টি করে উইকেট নেন।
আরও পড়ুন:- ১ থেকে ৭০০, টেস্টে জেমস অ্যান্ডারসনের মাইলস্টোন উইকেটের শিকার হয়েছেন কারা
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইসলামাবাদ ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ২৩২ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এটি রান তাড়া করে তৃতীয় বৃহত্তম জয়ের সর্বকালীন নজির। ৯টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৪০ বলে ৮৪ রান করে ম্যাচের সেরা হন কলিন মুনরো। ৬টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৩১ বলে ৫৪ রান করেন শাদব খান। হায়দার আলি ৩০, ফহিম আশরাফ ২৩ ও ইমদ ওয়াসিম ৩০ রানের যোগদান রাখেন।
৩টি উইকেট নেন মুলতানের আব্বাস আফ্রিদি। ২টি উইকেট নেন মহম্মদ আলি। এই জয়ের সুবাদে ১০ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফে পৌঁছে যায় ইসলামাবাদ। মুলতান আগেই প্লে-অফের টিকিট পকেটে পুরেছে। তাদের সংগ্রহে রয়েছে ৯ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট।
লাহোর কালান্দার্স বনাম কোয়েট্টা গ্ল্যাডিয়েটর্স:-
দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের জন্য শেষ বলে কোয়েট্টার দরকার ছিল ৪ রান। শাহিন আফ্রিদির শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জেতান মহম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র এবং দলকে প্লে-অফে জায়গা করে দেন।
করাচিতে লিগের ২৮তম ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করে লাহোর কালান্দার্স ২০ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৬ রান তোলে। ৩টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৩৯ বলে অপরাজিত ৫৯ রান করেন আবদুল্লা শফিক। ২টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৩৪ বলে ৫৫ রান করেন শাহিন আফ্রিদি। কোয়েট্টার আবরার আহমেদ ২টি এবং মহম্মদ আমির ও মহম্মদ ওয়াসিম ১টি করে উইকেট সংগ্রহ করেন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে কোয়েট্টা ২০ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৯ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ৫টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৬৫ বলে ৮৮ রান করে অপরাজিত থাকেন সউদ শাকিল। ২টি করে উইকেট নেন লাহোরের শাহিন আফ্রিদি ও জাহানদাদ খান। ম্যাচের সেরা হন শাকিল।