ইডেনে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে আইপিএল ২০২৪-এর প্রথম ম্যাচে মাত্র ৭ রান করে আউট হয়ে বসেন বেঙ্কটেশ আইয়ার। তবে চিন্নাস্বামীতে আরসিবির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচে পরিচিত মেজাজে ধরা দেন তিনি। ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি করে দলকে দাপুটে জয় এনে দিতে সাহায্য করেন বেঙ্কটেশ।
প্রথম ম্যাচের ব্যর্থতা ঝেড়ে আরসিবির বিরুদ্ধে ঝড় তোলার পিছনে আলাদা এক অনুপ্রেরণা কাজ করে বেঙ্কটেশের মধ্যে। ম্যাচের শেষে নাইট তারকা নিজেই হদিশ দেন সেটার। আসলে চিন্নাস্বামীতে আরসিবি বনাম কেকেআর ম্যাচ দেখতে উপস্থিত ছিলেন বেঙ্কটেশের হবু বউ। নিজের বাগদত্তার সামনে দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স মেলে ধরার ইচ্ছাই সম্ভবত বেঙ্কটেশকে আগুনে ব্যাটিং করতে সাহায্য করে।
কেকেআরের জয়ের পরে আইয়ার বলেন, ‘সন্ধ্যার দিকে ব্যাটে দারুণ বল আসছিল। সুনীল নারিকেও কৃতিত্ব দিতে হয়। ও রান করে দেওয়ায় আমাদের উপর থেকে চাপ কমে যায়। ম্যাচ ফিনিশ করা শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।’
বেঙ্কটেশ আরও বলেন, ‘এই ধরণের পিচ থেকে যতটা বেশি সম্ভব সুবিধা আদায় করে নিতে হয়। মঞ্চটাকে যথাযথ ব্যবহার করা উচিত। বাঁ-হাতি স্পিনার যখন বল করছিল, আমি জানতাম আমাকে দায়িত্ব নিতে হবে। তাছাড়া আজ গ্যালারিতে আমার বাগদত্তা উপস্থিত ছিল। সুতরাং, এটা আমার কাছে একটা বিশেষ দিন। ওকেও কৃতিত্ব দিতে হয়।’
শেষে বেঙ্কটেশ অকপটে জানান যে, ম্যাচে বিজয়কুমার বৈশাককে সামলানো কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাঁর কথায়, ‘বৈশাক দারুণ বল করছিল। দারুণভাবে গতির হেরফের করেছে। স্লো বল খেলা কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। জোরে বলে তুলনায় সহজেই শট নেওয়া যাচ্ছিল।’
যদিও পিঠের সমস্যা নিয়ে সমর্থকদের আশঙ্কায় রেখে দেন নাইট তারকা। তিনি জানান যে, স্ক্যানের পরেই জানা যাবে পরিস্থিতি কেমন রয়েছে।
শুক্রবার বেঙ্কটেশ আইয়ার তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ঝড় তোলেন। তিনি ৩টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ২৯ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। যদিও ব্যক্তিগত অর্ধশতরানে পৌঁছনোর পরেই আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে আইয়ার। ৩০ বলে ৫০ রান করে যশ দয়ালের বলে বিরাট কোহলির হাতে ধরা পড়েন বেঙ্কটেশ।
কেকেআর ম্যাচে ১৯ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটের দাপুটে জয় তুলে নেয়। আরসিবির ৬ উইকেটে ১৮২ রানের জবাবে ব্যাট করতে নামে কেকেআর। তারা ১৬.৫ ওভারে ৩ উইকেটে বিনিময়ে ১৮৬ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়।