আইপিএল ২০২৫ জিতেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। বিরাট কোহলির দল অবশেষে ১৮তম সংস্করণে এসে রজত পতিদারের অধিনায়কত্বে ট্রফি জিতেছে। এতদিন আইপিএল যেন ছিল আরসিবির কাছে দুঃস্বপ্নের মতো, কারণ কাছাকাছি এসেও জেতা হয়নি ট্রফি। চতুর্থবার ফাইনালে উঠে অবশ্য সেই কাপ ভাগ্যে শিকে ছিঁড়েছে বেঙ্গালুরুর দলটির। ১৮তম বছর ট্রফির খরা কাটার পরই অনেকের মনেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, বিরাট কোহলি আগামী মরশুমের আইপিএলেও খেলবেন তো? এমনিতে বিরাটের না খেলার কোনও কারণই নেই, কারণ তাঁর বয়স এখন মাত্র ৩৬। সেখানে তাঁর থেকে বয়সে অনেক বড় রবিচন্দ্রন অশ্বিন, মহেন্দ্র সিং ধোনি, ফ্যাফ ডুপ্লেসিসরা বিন্দাস খেলছেন আইপিএল।
কিন্তু বিরাট যে হারে প্রত্যেক বছরই একটা করে অবসরের বোমা ফাটাচ্ছেন তাতে তাঁর সমর্থকরা বেশ চিন্তাতেই আছেন। এই যেমন গতবছর জুন মাসের শেষে টি২০ বিশ্বকাপ জেতার পর বিরাট জানিয়েছিলেন, তিনি আর টি২০ ফরম্যাটে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলবেন না। আবার চলতি বছরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের পর মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিরাট জানিয়ে দেন, তিনি আর টেস্ট ফরম্যাটেও খেলবেন না।
এই আবহেই বিরাট কোহলির মতো রোহিত শর্মাকেও নিয়ে অনেক জল্পনা চলছে। কারণ আগের থেকে কিছুটা হলেও রিফ্লেক্স বা ছন্দ নষ্ট হয়েছে হিটম্যানের, যেটা বয়স বাড়ার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আর মহেন্দ্র সিং ধোনিরও বর্তমানে ৪৩ বছর বয়স, ফলে তিন তারকার আইপিএল ভবিষ্যৎের সঙ্গেই জড়িত রয়েছে আইপিএলের ভবিষ্যৎও। কারণ শুভমন গিল, ঋষভ পন্ত, লোকেশ রাহুল বা জসপ্রীত বুমরাহ, এখনও কারোরই বিরাট, ধোনিদের মতো ফ্যান বেস তৈরি হয়নি।
এই আবহেই এবার বড় বার্তা দিলেন অস্ট্রলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। তিনি বিয়ন্ড২৩ ক্রিকেট পজকাস্টে বলছিলেন, ‘আমার মনে হয় আগামী বছরের আইপিএলেও বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা এবং মহেন্দ্র সিং ধোনি খেলবেন। মহেন্দ্র সিং ধোনির খেলা মানে বিশাল ব্যাপার, যখনই চেন্নাই খেলে সেটা অ্যাওয়ে ম্যাচ হলেও সেখানে ধোনির সমর্থকই বেশি থাকে। স্পন্সররা, ভক্তরা, সবাই ধোনির জন্যই ম্যাচ দেখতে মাঠে আসে। ও হচ্ছে ওদের ফ্র্যাঞ্চাইজির অনেকটা রাজার মতো। ওরা চায় ধোনি খেলতেই থাকুক, তবে আমার মনে হয় মানুষ এখন বুঝতে পারছে না ধোনির অবদান কতটা দলে। যখন ও অবসর নেবে, তখন সেটা ওদের ফ্র্যাঞ্চাইজির অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে ’।