২০২৫ সালের আইপিএলে অবশেষে সেই খেলোয়াড় ফিরে এসেছেন, যাঁকে দেখার জন্য সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন। রবিবার (২৭ এপ্রিল) মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং লখনউ সুপার জায়ান্টসের মধ্যে এই মরশুমের ৪৫তম ম্যাচে মাঠে ফিরেছেন ফাস্ট বোলার ময়াঙ্ক যাদব। বেশ কিছু দিন ধরে চোটে ভুগছিলেন এই ভারতীয় ফাস্ট বোলার, ৩৬২ দিন পর আইপিএলে ফিরেই নিজের চেনা ছন্দে পাওয়া গিয়েছে ময়াঙ্ককে।
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে খেলা এই ম্যাচে টস হেরে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স প্রথমে ব্যাট করতে নামে। এই মরশুমে এটি লখনউয়ের ১০ নম্বর ম্যাচ। আর এই ম্যাচের হাত ধরেই ময়াঙ্ক যাদব প্রায় এক বছর পর আইপিএলে ফিরলেন। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের আইপিএলে ময়াঙ্কের শেষ ম্যাচটি ছিল ৩০ এপ্রিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষেই। যে ম্যাচে তিনি ৩ ওভার খেলার পর চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন। তবে এর পর টিম ইন্ডিয়ার হয়ে অভিষেক হয়েছিল তাঁর। কিন্তু চোটের কারণে আবারও মাঠের বাইরে ছিটকে যান।
রোহিত পরপর দু'টি ছক্কা মারলে, একই ওভারে বদলা পূরণ করেন ময়াঙ্ক
২০২৪ সালের ১২ অক্টোবর টিম ইন্ডিয়ার জার্সিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে শেষ ম্যাচ খেলা ময়াঙ্ক যাদব দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে ২২ গজে ফিরে এসেছেন। এদিন মুম্বই ইনিংসের প্রতণ ওভারেই বল করতে আসেন ময়াঙ্ক। দেন মাত্র ৬ রান। কিন্তু ইনিংসের তৃতীয় তথা ময়াঙ্কের দ্বিতীয় ওভারে তাঁকে পরপর ২টি ছক্কা হাঁকান রোহিত শর্মা। ওভারের প্রথম বলটিই ওয়াইড হয়েছিল। পরের দুই বলেই ২টি ছয় মারেন রোহিত। শুরুতেই ধাক্কা খেয়ে যান ময়াঙ্ক। তবে তিনি এতে ঘাবড়ে যাননি। বরং এক শোধ তিনি সুদে-আসলে তোলেন।
ময়াঙ্ক তাঁর প্রতিশোধ নেন
রোহিত পরপর ময়াঙ্ককে ছয় মারার পর লখনউ সুপার জায়ান্টসের অধিনায়ক ঋষভ পন্তের মুখে হতাশা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল। অন্যদিকে ওয়াংখেড়ে জুড়ে তখন রোহিতের নামে শব্দব্রহ্ম। কিন্তু মায়াঙ্ক যাদব এতে প্রভাবিত হননি, বরং দু'টি ছক্কা হজম করার পর, তিনি আরও তেতে যান। তিনি বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে বলের লাইন-লেন্থ পরিবর্তন করেন এবং পরের ২ বলে কোনও রান দেননি। তার পর ওভারের পঞ্চম বলে, তিনি গতিতে বড় পরিবর্তন আনেন এবং একটি স্লো বল করেন। সেই বলে শট খেলতে গিয়ে রোহিত সোজা ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট ফিল্ডারের হাতে সহজ ক্যাচ তুলে দেন। ৫ বলে ১২ করে সাজঘরে ফেরেন রোহিত।
হার্দিককেও বোল্ড করেন ময়াঙ্ক
শুধু মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের প্রাক্তন অধিনায়ককেই নয়, বর্তমান অধিনায়ককেও প্যাভিলিয়নে ফিরিয়েছেন ময়াঙ্ক। ১৬তম ওভারে ফের বল করতে এলে হার্দিককে ক্লিন-বোল্ড করেন ময়াঙ্ক। ওভারের প্রথম বলেই আরও একটি বড় উইকেট তুলে নেন ময়াঙ্ক। ভালো লেন্থ বলটি হার্দিক মিস করে যান। বলটি ব্যাট এবং প্যাডের মধ্য দিয়ে বেরিয়ে যায়। হার্দিক পান্ডিয়া স্ট্রেট ড্রাইভ মারার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বলটি হার্দিক পুরোপুরি মিস করে গেলে স্টাম্প ভেঙে যায়। ৭ বলে ৫ করে সাজঘরে ফিরে যান হার্দিক।