লিগের চার ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে ফাইনালের টিকিট পকেটে পোরে নিউজিল্যান্ড। খেতাবি লড়াইয়েও জয়ের ধারা বজায় রাখে কিউয়িরা। সুতরাং, টানা ৫ ম্যাচ জিতে জিম্বাবোয়েতে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় টি-২০ সিরিজ জিতে নিল নিউজিল্যান্ড। রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে মাত্র ৩ রানের ব্যবধানে হারিয়ে দেন মিচেল স্যান্টনাররা।
ফাইনালে কার্যত জেতা ম্যাচ হাতছাড়া করে দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রোটিয়াদের দরকার ছিল মোটে ৭ রান। হাতে ছিল ৬টি উইকেট। শেষ ওভারে ম্যাট হেনরি মাত্র ৩ রান খরচ করে ২টি উইকেট তুলে নেন। নিশ্চিত হারা ম্যাচ জিতিয়ে ফাইনালের নায়ক হয়ে দেখা দেন হেনরি।
আয়োজক জিম্বাবোয়ে লিগের চার ম্যাচের চারটিতেই হেরে ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয়। দক্ষিণ আফ্রিকা লিগের ৪ ম্যাচের ২টিতে জিতে ফাইনালে ওঠে। প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে খেতাবি লড়াইয়ে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে নিউজিল্যান্ড। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৮০ রান সংগ্রহ করে।
২৭ বলে ৪৭ রান করেন রাচিন রবীন্দ্র। তিনি ৪টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ৩১ বলে ৪৭ রান করেন ডেভন কনওয়ে। তিনি ৬টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। এছাড়া টিম সেফার্ত ৩০, ডারিল মিচেল ১৬ ও মাইকেল ব্রেসওয়েল ১৫ রানের যোগদান রাখেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ২৪ রানে ২টি উইকেট নেন লুঙ্গি এনগিদি। ১টি করে উইকেট দখল করেন নান্দ্রে বার্গার, কোয়েনা মাফাকা ও সেনুরান মুথুস্বামী। উইকেট পাননি জর্জ লিন্ডে ও করবিন বশ।
জবাবে ব্য়াট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৭ রানে আটকে যায়। অর্থাৎ তীরে এসে তরী ডোবে তাদের। প্রোটিয়াদের হয়ে ৩৫ বলে ৫১ রান করেন লুয়ান দ্রে প্রিটোরিয়াস। তিনি ৫টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ১৬ বলে ৩১ রান করেন ডেওয়াল্ড ব্রেভিস। তিনি ১টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন।
এছাড়া রিজা হেনড্রিক্স ৩৭, রাসি ভ্যান ডার দাসেন ১৮ ও জর্জ লিন্ডে ১০ রান করেন। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ১৯ রানে ২টি উইকেট নেন ম্যাট হেনরি। ১টি করে উইকেট পকেটে পোরেন জেকব ডাফি, জাকারি ফোকস, অ্যাডাম মিলনে ও মাইকেল ব্রেসওয়েল। উইকেট পাননি ক্যাপ্টেন মিচেল স্যান্টনার। সাকুল্যে ১০টি উইকেট নিয়ে সিরিজের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কারও জিতে নেন ম্যাট হেনরি।