টানা ২টি টি-২০ ম্যাচ জেতার পর রাজকোটে ইংল্যান্ডের কাছে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে পরাজিত হয়েছে ভারত। বল এবং ব্যাট হাতে দুরন্ত লড়াই করে বেন ডাকেট-জ্যামি ওভারটনরা। গতকালের ম্যাচে জয়ের পর ৫ ম্যাচের সিরিজের ফলাফল ২-১। তবে ঠিক কেন হারতে হল টিম ইন্ডিয়াকে? মনে করা হচ্ছে ১৪৭ রানে ৯ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর শেষ উইকেটে আদিল রশিদ এবং মার্ক উড মিলে যেই ২০ রানের মতো যোগ করেন, সেটাই ম্যাচের রং বদলে দিয়েছে। হয়তো ওই অতিরিক্ত রান যদি যোগ না হতো, তবে অনায়াসেই রাজকোটে ম্যাচ জিতে সিরিজ পকেটে পুড়ে নিত টিম ইন্ডিয়া। ম্যাচ শেষে সেই কথা স্বীকার করেছেন ইংরেজ স্পিনার আদিল নিজেও।
ব্যাটিংয়ে ৯ বলে ১০ রান করার পাশাপাশি বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ একটি উইকেট নেন আদিল রশিদ। আউট করেন তিলক বর্মাকে। গত ম্যাচে একাই ম্যাচ জিতিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তবে মঙ্গলবার ব্যাট হাতে খুব বেশি কিছু করতে পারেননি। ১৪ বলে ১৮ রান করে রশিদের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ম্যাচ শেষে রশিদ এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা একটা বোলিং ইউনিট হিসাবে খুবই ভালো পারফর্ম করেছি। বল ভালো মতো গ্রিপ হচ্ছিল এবং স্পিন করছিল। আপনি যত বেশি খেলবেন, তত অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করবেন।’
তিনি জানান যে বোলিং ভেরিয়েশনই তাঁর বড় শক্তি। রশিদ বলেন, ‘আমার অন্যতম শক্তি হল - বোলিং ভেরিয়েশন। আমরা যখন ব্যাটিং করছিলাম তখন পিচ স্লো মনে হচ্ছিল, বল নিচু হয়ে আসছিল এবং ব্যাটে ঠিক মতো সংযোগ হচ্ছিল না। সেই কারণে একটা বোলিং ইউনিট হিসাবে আমরা আমাদের বোলিং লেন্থ অ্যাডজাস্ট করি। আমি আমার বোলিং পেস পরিবর্তন করছিলাম, সেটাই সাফল্য এনে দিয়েছে। আমি নেটে কঠোর অনুশীলন করেছি, আশা করি আরও উন্নতি করব।’
শেষ উইকেটে উডের সঙ্গে পার্টনারশিপটা জয়ের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করছেন রশিদ। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ব্যাট করছিলাম তখন প্রায় ২ ওভার মতো বাকি ছিল। তাই আমি আর উড ঠিক করি কিছু করে দেখাতে হবে। ওই ১৫-২০ রানটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’ উল্লেখ্য, তৃতীয় টি-২০ ম্যাচে ফের একবার টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত। প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান তোলে ইংল্যান্ড। হাফ সেঞ্চুরি করেন বেন ডাকেট। ভারতের হয়ে বল হাতে ২৪ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন বরুণ চক্রবর্তী। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রান তোলে ভারত। ব্যাট হাতে একমাত্র উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স করেন হার্দিক পান্ডিয়া। ৩৫ বলে ৪৫ করেছিলেন তিনি।