ভারতীয় দলের বর্তমান সময়ে নয়, সর্বকালের যে অন্যতম সেরা বোলার জসপ্রীত বুমরাহ, সেটাই তিনি আরও একবার প্রমাণ করে দিয়েছেন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে লিডস টেস্টে। যেখানে বাকি চার বোলার মিলে ৩৮২ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন, সেখানে জসপ্রীত বুমরাহ পাঁচ ইংরেজ ব্যাটারকে ফিরিয়েছেন সাজঘরে মাত্র ৮৩ রান দিয়ে। বল করেছেন প্রায় ২৫ ওভার মতো। অর্থাৎ ওয়ার্কলোডও তাঁকে যথেষ্টই বেশি নিতে হয়েছে বাকি বোলারদের তুলনায়। মহম্মদ সিরাজের ২৭ ওভারের পরই সব থেকে বেশি বোলিং করেছেন এই টেস্টে বুমরাহ।
জসপ্রীত বুমরাহ যে ছন্দে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দিনে ছিলেন, তাতে স্লিপ কর্ডনে যদি যশস্বী জসওয়াল, রবীন্দ্র জাদেজারা তিনটি লোপ্পা লোপ্পা ক্যাচ মিস না করতেন, তাহলে ইংল্যান্ডের দুঃখ আরও বাড়ত। ইংল্যান্ড ইনিংসে জবনিকা টানার পর ভারতীয় পেসার অবশ্য নিজেকে সামলে নিচ্ছেন, আর ফিল্ডারদের পাশেই দাঁড়ালেন।
জসপ্রীত বুমরাহ বলেন, ‘যখন ক্যাচ মিস হয়, আমি তখন কয়েক মূহূর্তের জন্য একটু হতাশ হই। তবে এটা খেলারই অংশ। এই ছেলেগুলো নতুন দলে, আর ওরা চেষ্টাও করছে অনেক। তাই আমি ওদের ওপর কোনওভাবেই চাপ বাড়়াতে চাই না। কেউ তো আর ইচ্ছাকৃতভাবে ক্যাচ মিস করছে না, তাই আশা করব এর থেকে ওরা অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারবে ’।
এরপর জসপ্রীত বুমরাহ স্বীকার করে নেন যে অনেক সময়ই শীতল পরিবেশের কারণেও ক্যাচ মিস হতে পারে। ভারতীয় দলের পেসার বলেন, ‘কখনও কখনও ঠান্ডার কারণেও ক্যাচ ধরা কঠিন হয়ে যায়। আমি তাই কখনই ক্যাচ মিসকে আমায় প্রভাবিত করতে দিই না, আর যত দ্রুত সম্ভব এই বিষয়টি থেকে বেরনোর চেষ্টা করে থাকি ’।
ওলি পোপের ক্যাচ মিসের পর তিনি শতরান করেন, এদিকে বেন ডাকেটেরও ক্যাচ মিসের পর তিনি ৬২ রান করেন। বুমরাহর বলে হ্যারি ব্রুক আউট হলেও সেটা পরে আম্পায়ার নো বল দেন, তাতেই ব্রুক বেঁচে যান এবং পরে ৯৯ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন, ফলে ভাগ্য সহায় থাকলে বুমরাহর, আরও আগেই ইংল্যান্ডের ইনিংস শেষ হয়ে যেত।