বর্ডার গাভাসকর ট্রফির পঞ্চম টেস্টে খেলতে দেখা গেল না রোহিত শর্মাকে। জানা যাচ্ছে, নিজেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন তিনি। এর আগে পার্থেও খেলতে দেখা যায়নি তাঁকে।সেবার পারিবারিক কারণে না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রোহিত। অ্যাডিলেড টেস্ট থেকে দলের সঙ্গে যোগ দেন তিনি। তবে ব্যাট হাতে চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছেন এই সিরিজে। দীর্ঘদিন ধরেই টেস্ট ক্রিকেটে খারাপ ফর্ম চলছিল তাঁর। মেলবোর্নে হারের পর থেকেই তাঁকে দল থেকে বসানোর দাবি তুলছিলেন ক্রিকেট প্রেমীরা। নিজেও রোহিত বুঝতে পারছিলেন বিষয়টা। সেই থেকেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ বলে মনে করছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার ইরফান পাঠান।
টেস্ট ক্রিকেটের শেষ ১৫ ইনিংসে মাত্র ১৬৪ রান করেছেন রোহিত শর্মা, গড় ১০.৯৩। বর্ডার গাভাসকর ট্রফিতে ৫ ইনিংসে ব্যাট করেছেন তিনি। রান করেছেন যথাক্রমে ১০, ৩, ৬, ৩ এবং ৯। অর্থাৎ চলতি সিরিজে এখনও পর্যন্ত মাত্র ৩১ রান করেছেন রোহিত, গড় ৬.২। কোনও অধিনায়কের পক্ষে নিজেকে ড্রপ করার সিদ্ধান্ত নেওয়াটা মোটেও সহজ কাজ নয় বলে মনে করছেন ইরফান। এদিন কমেন্ট্রি করার সময় তিনি বলেন, ‘রোহিত নিজেও বুঝতে পারছিল ব্যাট থেকে রান আসছে না। এই বিষয়টা ব্যাটসম্যান নিজেই বুঝতে পারে। সে বুঝতে পারে আমি আর লড়াই করার মানসিকতায় নেই, ছেড়ে দেওয়াই ঠিক হবে। ওটাই ভেবেছে রোহিত শর্মা। এবং সে দলের কথাও ভেবেছে। ও মনে করেছে- শুভমন গিল, যে তার থেকে ভালো ফর্মে রয়েছে তাকে খেলানো হোক, আমি অধিনায়ক হিসেবে বরং না খেলি। এটা করার ক্ষমতা সব খেলোয়াড়ের থাকে না।’
ইরফানের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন অপর ধারাভাষ্যকর যতীন সাপরু।তিনি বলেন, ‘একজন ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থক হিসেবে বিষয়টাকে আমরা অ্যাডিলেড থেকে দেখি, কারণ পার্থে রোহিত খেলেনি। শুভমন গিল বাইরে বসেছিল, যেটা অনেকের হজম হয়নি। অধিনায়ক হিসেবে অ্যাডিলেডে সে একটা ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, কেএল রাহুল এবং যশস্বী জসওয়াল জুটিকে ভাঙেনি, পার্থে তারা ২০০-র উপরে পার্টনারশিপ গড়েছিল। অ্যাডিলেড এবং ব্রিসবেনে ব্যাটিং লাইন আপে কোনও রকম পরিবর্তন না করে রোহিত ৬ নম্বরে নেমে চেষ্টা করে, দেখে যে সে ৬ নম্বরে দলকে কোনও সফলতা এনে দিতে পারছে কিনা। কিন্তু সফল হয়নি। মেলবোর্নে হয়তো টিম ম্যানেজমেন্ট বলেছিল ওপেনার হিসেবে তোমার রেকর্ড অসাধারণ , তুমি ওপেন করো। সেটাই হয়তো শেষ সুযোগ ছিল। এরপরেই অধিনায়ক রোহিত,ব্যাটসম্যান রোহিতের ফর্ম দেখে এরকম বড় একটা নিঃস্বার্থ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।’
ইরফান পাঠান এরপর বলেন, ‘একদমই নিঃস্বার্থ সিদ্ধান্ত। রোহিত আজ যেটা করেছে সেটা অন্য কোনও অধিনায়ককে লাগাতার করতে দেখা যাবে না। এটা তখনই সম্ভব যখন কেউ দৃঢ় মানসিকতার খেলোয়াড় হয়। রোহিত খুবই দৃঢ় মানসিকতার ক্রিকেটার।’