আধুনিক টি-২০ ক্রিকেটে ব্যাটারদের তাণ্ডবের হাত থেকে বাঁচতে নিত্য নতুন বৈচিত্র্য আমদানির চেষ্টায় থাকেন বোলাররা। তবে শ্রীলঙ্কার কামিন্দু মেন্ডিস যেভাবে ভারতীয় ব্যাটারদের আটকে রাখার কৌশল অবলম্বন করেন, তেমনটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিরল সন্দেহ নেই। আসলে কামিন্দু ভারতের দুই ব্যাটারকে বল করেন ভিন্ন ভিন্ন হাতে।
দুই হাতেই বল করার বিরল দক্ষতা রয়েছে কামিন্দুর। শনিবার পাল্লেকেলেতে সেটা তিনি প্রয়োগ করেন ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ভারত। পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারেই ১ উইকেটে ৭৪ রান সংগ্রহ করে নেয় টিম ইন্ডিয়া।
প্রথম ইনিংসের দশম ওভারে বল করতে আসেন কামিন্দু মেন্ডিস। ব্যাট করছিলেন সূর্যকুমার যাদব ও ঋষভ পন্ত। কামিন্দু বাঁ-হাতি ব্যাটার পন্তকে ডানহাতে অফস্পিন বল করেন। ডানহাতি ব্যাটার সূর্যকুমার যাদবকে তিনি বাঁ-হাতে স্পিন বল করেন। ওভারে ১টি চার মারেন সূর্যকুমার। ম্যাচে কামিন্দুর একমাত্র ওভারে ৯ রান সংগ্রহ করে ভারত।
টিম ইন্ডিয়া নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ২১৩ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে। অধিনায়কোচিত হাফ-সেঞ্চুরি করেন সূর্যকুমার যাদব। তিনি ২৬ বলে ৫৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন। মারেন ৮টি চার ও ২টি ছক্কা। নিশ্চিত হাফ-সেঞ্চুরি মাঠে ফেলে আসেন ঋষভ পন্ত। তিনি ৩৩ বলে ৪৯ রান করে মাঠ ছাড়েন। পন্ত ৬টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন।
২১ বলে ৪০ রান করেন যশস্বী জসওয়াল। তিনি ৫টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ১৬ বলে ৩৪ রান করেন শুভমন গিল। তিনি ৬টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। শ্রীলঙ্কার মাথিসা পথিরানা ৪ ওভারে ৪০ রান খরচ করে ৪টি উইকেট তুলে নেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা একসময় ১ উইকেটে ১৪০ রান তুলে ফেলে। তবে তার পরেই তাদের ব্যাটিং লাইনআপে ধস নামে। শ্রীলঙ্কা ১৯.২ ওভারে ১৭০ রানে অল-আউট হয়ে যায়। অর্থাৎ, ৩০ রানে শেষ ৯টি উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। ভারত ৪৩ রানে ম্যাচ জিতে ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-০ লিড নেয়।
৪৮ বলে ৭৯ রান করেন পাথুম নিশঙ্কা। তিনি ৭টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। ২৭ বলে ৪৫ রান করেন কুশল মেন্ডিস। তিনি ৭টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। রিয়ান পরাগ ১.২ ওভারে মাত্র ৫ রান খরচ করে ৩টি উইকেট তুলে নেন। ২টি করে উইকেট নেন আর্শদীপ সিং ও অক্ষর প্যাটেল। ম্যাচের সেরা হন সূর্যকুমার।