আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে সব থেকে বেশি রান করা ভারতীয় ক্রিকেটারের তকমা গত ম্যাচেই নিজের দখলে নিয়েছেন বিরাট কোহলি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে দাপুটে হাফ-সেঞ্চুরি করার পথে বিরাট ভেঙে দেন শিখর ধাওয়ানের সর্বকালীন রেকর্ড। এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে একটি বিশ্বরেকর্ড গড়ার হাতছানি রয়েছে কোহলির সামনে। এক্ষেত্রে ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ক্রিস গেইলের সর্বকালীন নজির ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে পারেন ভারতীয় তারকা।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ফাইনালে ব্যাট করতে নেমে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে সব থেকে বেশি রান করার বিশ্বরেকর্ড গড়তে পারেন বিরাট কোহলি। তার জন্য তাঁর দরকার মোটে ৪৬ রান। এখনও পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে সব থেকে বেশি রান সংগ্রহ করার বিশ্বরেকর্ড রয়েছে ক্রিস গেইলের দখলে। টুর্নামেন্টের ১৭টি ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে ক্রিস গেইল সংগ্রহ করেছেন সাকুল্যে ৭৯১ রান। তিনি মিনি বিশ্বকাপে ৩টি সেঞ্চুরি ও ১টি হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে গেইলের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস অপরাজিত ১৩৩ রানের।
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এখনও পর্যন্ত বিরাট কোহলির ব্যক্তিগত সংগ্রহ সাকুল্যে ৭৪৬ রান। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ১৭টি ম্যাচের ১৬টি ইনিংসে ব্যাট করে কোহলি এই রান সংগ্রহ করেন। কোহলি এখনও পর্যন্ত মিনি বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি করেছেন ১টি ও হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন ৬টি। এই টুর্নামেন্টে কোহলির সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস অপরাজিত ১০০ রানের। সুতরাং, গেইলের থেকে মাত্র ৪৫ রানে পিছিয়ে রয়েছেন কোহলি। ফাইনালে ৪৬ রান করলেই গইলকে টপকে তালিকার এক নম্বরে উঠে আসবেন বিরাট।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সব থেকে বেশি রান করা ৫ ব্যাটার
১. ক্রিস গেইল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)- ১৭ ইনিংসে ৭৯১ রান।
২. বিরাট কোহলি (ভারত)- ১৬ ইনিংসে ৭৪৬ রান।
৩. মাহেলা জয়াবর্ধনে (শ্রীলঙ্কা)- ২১ ইনিংসে ৭৪২ রান।
৪. শিখর ধাওয়ান (ভারত)- ১০ ইনিংসে ৭০১ রান।
৫. কুমার সাঙ্গাকারা (শ্রীলঙ্কা)- ২১ ইনিংসে ৮৮৩ রান।
বিরাট কোহলি চলতি আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ৪টি ম্যাচে মাঠে নেমে ৭২.৩৩ গড়ে সাকুল্যে ২১৭ রান সংগ্রহ করেছেন। তিনি ৮৩.১৪ স্ট্রাইক-রেটে রান সংগ্রহ করেছেন। চলতি টুর্নামেন্টে বিরাট ১টি সেঞ্চুরি ও ১টি হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন। তাঁর সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস অপরাজিত ১০০ রানের।
বিরাট বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ২২ রান করেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচে অপরাজিত ১০০ রান করেন কোহলি। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় লিগ ম্যাচে ১১ রান করে আউট হন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে ৮৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন বিরাট।