‘আমি গিরগিটি নই’, কলকাতা নাইট রাইডার্সই আমার পছন্দের দল। গৌতম গম্ভীর আসার পর দলে পরিবর্তন হয়েছে। সুনীল নারিনকে গৌতি বেশ ভালো ব্যবহার করছে' বললেন ওয়াসিম আক্রম। সুলতান অফ সুইং এরই মধ্যে ফাঁস করলেন গৌতির কুসংস্কারের কথাও
গৌতম গম্ভীর, ওয়াসিম আক্রম।
বরাবরই তিনি বাকিদের থেকে আলাদা। পাকিস্তানের অনেক ক্রিকেটার যখন ভারতীয়দের মাঠ এবং মাঠের বাইরেও পছন্দ করত না, সেখানে তিনি বরাবরই সচিন, সৌরভদের সঙ্গে বড় দাদার মতোই ব্যবহার করতেন। তিনি সুলতান অফ সুইং ওয়াসিম আক্রম। সেই কারণে ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরাও তাঁকে বেশ পছন্দই করে। শত্রুপক্ষের দেশের ক্রিকেটার হওয়া সত্বেও আক্রমের প্রতি এখনও একটা টান রয়েছে পুরোনো দিনের ক্রিকেটপ্রেমীদের। আর তাঁর সৌন্দর্যের প্রতি মহিলাদের টানের কথাও সকলেরই জানা। এতকালে কখনই নিজেকে বা নিজের দেশকে বড় করে দেখাতে গিয়ে সচিনদের অযথা ছোট করেননি। বরাবরই ঠিক কে ঠিক, ভুল কে ভুল বলার নিয়মেই চলেন আক্রম। সেদিনের সুলতান আজও মনের দিক থেকে সুলতানই আছেন, বোঝা গেল তাঁর নাইটদের প্রতি ভালোবাসার দেখে।
২০১২ সাল থেকে প্রায় ৫ বছর কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বোলিং কোচ হিসেবে। দলের দুবার আইপিএল জয়ে তাঁর অবদানও ছিল যথেষ্ট। শাহরুখ খানের দলে আইপিএলের শুরুর দিকে প্রচুর পাকিস্তানের খেলোয়াড় খেলেছিলেন। সলমন বাট, উমর গুল, মহম্মদ হাফিজ, শোয়েব আখতার। এরপর অবশ্য দুই দেশের সম্পর্কে অবনতি এবং পাকিস্তানি জঙ্গিদের কার্যকলাপের জন্য ক্রিকেটিয় সম্পর্ক শেষ হয়ে যায় দুই দেশের মধ্যে। এখনও সেদেশে ক্রিকেট খেলতে যায় না ভারত। যদিও আক্রমের মন কিন্তু এখনও পড়ে আছে শহর কলকাতায়, নাইট রাইডার্সেই। সুলতান অফ সুইং বলছেন, ‘আমি গিরগিটি নই, কেকেআর আমার দল, আমি তাঁদেরই সমর্থন করি’।
এবছর আক্রমের প্রীয় দল বেশ ছন্দেই রয়েছে। লিগ টেবিলের প্রথম দুইতে। আক্রম পুরো কৃতিত্বই দিচ্ছেন মেন্টর গৌতম গম্ভীরকে। পাকিস্তানি কিংবদন্তি পেসার বলছেন, ‘ গৌতম গম্ভীরের দলে আসাতেই পুরো পরিবেশই বদলে গেছে। গত দুবছরে সেমিফাইনালে না গেলেও এবার তাঁরা যা পারফরমেন্স করছে তাতে যেতেই পারে। গৌতম দল ছাড়ার পর মাত্র একবার ফাইনাল খেলেছে। এবছর গৌতম আসতেই সুনীল নারিনের পাশে দাঁড়িয়েছে, ও কত সুন্দর পারফর্ম করছে। আমি এই দলের সঙ্গে কাজ করেছি। তাই আমার প্রীয় দল সব সময়ই কেকেআর’।
আইপিএলের বিশ্লেষণ করতে এসে পাকিস্তানের প্রাক্তন তারকা অবশ্য মজাদার এক তথ্য ফাঁস করেছেন গৌতম গম্ভীরকে নিয়ে। ভারতের বিশ্বকাপজয়ী তারকাও নাকি কুসংস্কারাছন্ন। ৯ সংখ্যার সঙ্গে মিলিয়ে হোটেল রুম নিতেন গৌতি। আক্রম বলেন, ‘ গৌতি সব সময় ৯ নম্বর খুব পছন্দ করত। তাই হোটেলে হয় ৩৬ বা ৪৫ নম্বর রুম পেতে গিয়ে নাইট ম্যানেজমেন্টকেও বেশ কাঠখড় পোড়াতেই হত’।