বাংলা নিউজ > ক্রিকেট > পাকিস্তান ক্রিকেট নিজেদের পায়েই কুড়ুল মারছে- পাক প্লেয়ারদের নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে, পিসিবি-কে এক হাত নিলেন মিকি আর্থার
পরবর্তী খবর
পাকিস্তান ক্রিকেট নিজেদের পায়েই কুড়ুল মারছে- পাক প্লেয়ারদের নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে, পিসিবি-কে এক হাত নিলেন মিকি আর্থার
2 মিনিটে পড়ুন Updated: 13 Jan 2024, 02:42 PM ISTTania Roy
২০২৩ সালে আর্থার যোগ দেন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ডিরেক্টর হিসেবে। গত অক্টোবর-নভেম্বরে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের পর তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সম্প্রতি উইজডেনের এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তান ক্রিকেট নিয়ে নিজের হতাশা প্রকাশ করেছেন আর্থার। কেন প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও, পাকিস্তান সাফল্য পাচ্ছে না, সেই উত্তরও দিয়েছেন তিনি।
বাবর আজমের সঙ্গে মিকি আর্থার।
পাকিস্তান ক্রিকেটের হালহকিকৎ সম্পর্কে বেশ ভালোই ধারণা রয়েছে মিকি আর্থারের। আর থাকবে নাই বা কেন! ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধান কোচ ছিলেন তিনি। তাঁর অধীনেই পাকিস্তান জিতেছিল ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ২০১৯ বিশ্বকাপে আশানুরূপ পারফরম্যান্স করতে না পারার কারণে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতানো কোচকে বিশ্বকাপের পর বিদায় করেছিল পাকিস্তান। পরে তিনি আবারও পাকিস্তানে ফেরেন।
২০২৩ সালে আর্থার যোগ দেন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ডিরেক্টর হিসেবে। ভারতে গত অক্টোবর-নভেম্বরে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের পর ফের তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সম্প্রতি উইজডেনের এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তান ক্রিকেট নিয়ে নিজের হতাশা প্রকাশ করেছেন আর্থার। কেন প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও, পাকিস্তান সাফল্য পাচ্ছে না, সেই উত্তরও দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকান এই কোচ।
আর্থারকে ২০২৩ সালে ফিরিয়ে এনেছিলেন প্রাক্তন পিসিবি চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে অন্তর্বর্তীকালীন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন নাজাম। দায়িত্বে ফিরেই তিনি পাকিস্তান ক্রিকেটে ফেরান আর্থারকে। নাজাম শেঠি বিদায় নেওয়ার পর পাকিস্তান বিশ্বকাপে ভালো করতে না পারলে আর্থারকেও চুক্তির আগে চলে যেতে হয়। নতুন পিসিবি প্রধান জাকা আশরফ আর্থারের উপর ভরসা রাখেননি। বদলে ফেলা হয় পুরো কোচিং ইউনিটকে।
নির্বাচক ইনজামাম-উল-হক তো বিশ্বকাপের মধ্যেই পদত্যাগ করেছিলেন। সাক্ষাৎকারে আর্থার এই হুটহাট রদবদলের প্রক্রিয়ার তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি প্রতিনিয়ত দেখছি, পাকিস্তান ক্রিকেট নিজেদের পায়ে পেড়েক মারছে। প্রতিভা আছে, প্রয়োজন সঠিক কাঠামো, ভালো নেতৃত্ব। যথাযথ উপদেশের সঙ্গে চাই ধারাবাহিকতা ও স্থায়িত্ব। ২০১৬ থেকে ২০১৯, নাজামকে (নাজাম শেঠি) ধন্যবাদ, তখন আমাদের কাছে এমন খেলোয়াড় ছিল, যারা প্রক্রিয়ায় বিশ্বাস করত। আমি যখন ইনজির (ইনজামাম-উল-হক, প্রাক্তন নির্বাচক) সঙ্গে বসতাম, যার সঙ্গে আমার দারুণ কাজের বোঝাপড়া, দল নির্বাচন করতাম, দলের সঙ্গে পরে যে আলোচনা হত, তারা জানত একটা স্থায়ী কাঠামো আছে।’
আর্থার এর পর যোগ করেন, ‘আমি ও ইনজি তাদের ধারাবাহিকতা এনে দিচ্ছিলাম। আমি একজন খেলোয়াড়কে বলতে পারি (ফখরকে উদাহরণ হিসেবে ধরা যাক) যে, তুমি আগামী ১০টি ওয়ানডে খেলবে। আমরা জানি ও আমাদের ম্যাচ জেতাবে। মাঝেমধ্যে এটা অনেক ঝুঁকির। কিন্তু অন্তত খেলোয়াড়দের কাঠামোর প্রতি বিশ্বাস ছিল, নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বিশ্বাস করত এবং দলের জন্য খেলত।’