ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচের পদে বসেছেন গৌতম গম্ভীর। মসৃণ গতিতেই গৌতিকে কোচ করার কাজ সম্পন্ন করেছে বিসিসিআই। এই পদের জন্য তেমন কোনও তারকা আর আবেদন না করায় কাজটা সহজ হয়ে যায় বিসিসিআইয়ের ক্রিকেট পরামর্শদাতা কমিটির সদ্য যতীন পরাঞ্জপে, সুলক্ষণা নায়েক, অশোক মলহোত্রাদের কাছে। আরেক অভিজ্ঞ ভারতীয় কোচ ডাব্লু ভি রমনও এই পদের জন্য সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন কিন্তু ৪২ বছর বয়সী গম্ভীরকেই ভারতীয় দলের সর্বকনিষ্ঠ কোচ হিসেবে বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় সিএসি। এক্ষেত্রে তাঁর জোড়া বিশ্বকাপ জয়ের রেকর্ডই অনেকটা এগিয়ে দেয় গৌতিকে। এছাড়াও আইপিএল জিতে আসায় সাম্প্রতিক সাফল্যও অতিরিক্ত সুবিধা করে দেয় গম্ভীরকে। ঠিক কোন পথে কোচ হলেন গম্ভীর, একবার জেনে নিন কাহিনী।
গম্ভীরকে কোচ করার সিদ্ধান্ত নতুন নয়, অনেকদিন ধরেই এই পরিকল্পনা চলছিল বিসিসিআইয়ের। সেই কারণে তাঁকে কোচের পদে বেছে নেওয়ার পর কোনও বিতর্ক এড়াতে বিরাট কোহলির সঙ্গে কোনও আলোচনাই করেনি বিসিসিআই। দুই ক্রিকেটারের অতীতের তিক্ত সম্পর্কের কথা ভেবেই সেই ঝুঁকি নেয়নি বিসিসিআই। জানা যাচ্ছে, ২০১৯ সালে ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার গৌতির ভারতীয় দলের কোচ হওয়ার রাস্তা সেদিনই তৈরি হয়ে গেছিল যেদিন বিসিসিআইয়ের সচিব জয় শাহ ঘোষণা করেছিলেন, কোনও বিদেশি কোচকে এই পদে আনা হবে না। ফলে কোনও তারকাই আর এই পদের দাবিদার ছিলেন না। গম্ভীরের ইচ্ছা থাকায় তিনিই এগিয়ে ছিলেন তখন থেকেই। ফলে কেকেআরে মেন্টর হিসেবে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করার জন্যই যে গৌতম গম্ভীরকে এই পদে বসানো হয়েছে, বিষয়টি ঠিক তেমন নয়। বরং তাঁর এই পদে বসার বীজ অনেকদিন আগেই বোনা শুরু হয়ে গেছিল।
বিসিসিআই চাইছিল কোচের পদে অভিজ্ঞ ব্যক্তির থেকেও নিজের একটা ব্যক্তিত্ব রয়েছে এবং সৎ চরিত্র বহন করে এমন একজনকে কোচ করতে। এক্ষেত্রে দুবারে বিশ্বকাপজয়ী গম্ভীর অনেকের থেকেই এগিয়ে ছিলেন। ডানকান ফ্লেচারের পর থেকে ভারতীয় দলের কোচের পদে কখনও অনীল কুম্বলে, কখনও রবি শাস্ত্রী বা রাহুল দ্রাবিড় এসেছেন। বিদেশি কোচে আর ভরসা করেনি বিসিসিআই। আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর গৌতির সঙ্গে জয় শাহের বেশ কিছুক্ষণের আলোচনাই বুঝিয়ে দিয়েছিল তিনি এই পদে আসতে চলেছেন। এছাড়া এর ইঙ্গিত আগেই পেয়েছিলেন গৌতি, সেই কারণেই নিজের রাজনৈতিক কার্যকলাপ থেকে অব্যাহতি নিয়েছিলেন দিল্লির প্রাক্তন সাংসদ।