আজ থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজ। এই সিরিজ দিয়েই শুরু হচ্ছে আসন্ন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। বেন স্টোকসের নেতৃত্বে আরও একটা WTC বৃত্ত খেলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে ইংল্যান্ড। বেন স্টোকসের সঙ্গে ব্রেন্ডন ম্যাককালামের জুটিতে এখনও পর্যন্ত টেস্টে তেমন সাফল্য পায়নি ইংরেজরা। কারণ শেষ তিনটি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের একটিরও ফাইনালে তাঁরা উঠতে পারেনি। অথচ গত এক দশকে ইংল্যান্ড কিন্তু ওডিআই এবং টি২০ বিশ্বকাপ জিতেছে, তবে টেস্টে সাফল্য আসেনি ।
ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা বাজবল নামের আগ্রাসী ক্রিকেটকে প্রাধান্য দিলেও এখনও পর্যন্ত যেহেতু এই খেলার স্টাইল, ইংরেজদের তেমন সাফল্য দিতে পারেনি, তাই এই স্টাইল মনে ধরছে না প্রাক্তন ইংরেজ তারকা স্যার জিওফ্রে বয়কটের। তিনি স্পষ্ট করেই বলছেন, দলের কথা ভেবে দলের স্বার্থ অক্ষুন্ন রেখে এমন ক্রিকেট খেলা উচিত, যা ইংল্যান্ডকে আসন্ন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পৌঁছে দিতে পারে।
স্যার বয়কট বলছেন, ‘ইংল্যান্ড যদি একটু কমন সেন্স কাজে লাগিয়ে বাজবল স্টাইলে খেলে, তাহলে তাঁরা ভারতকে হারাতে পারবে। কিছু সময় তাঁদের খেলা খুবই সুন্দর লাগছে, মনোরঞ্জন দিচ্ছে দর্শকদের। কিন্তু বেপরোয়া ক্রিকেট তাঁদেরকে অনেক টেস্ট ম্যাচ হারিয়েই দিচ্ছি। তাঁদের উচিত স্রেফ দলের জয়ে মন দেওয়া, কারণ শেষ ৩টে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে তাঁরা কতকটা ভালো খেলেছে সেটা কেউ বলছে না, কিন্তু ইংল্যান্ড কোনওটার ফাইনালে ওঠেনি। তাই ওদের লজ্জা লাগাটাই স্বাভাবিক। ওদের লক্ষ্য থাকা উচিত, WTC ফাইনালে জায়গা পাওয়া ’।
ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া দুবার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলেছে, নিউজিল্যান্ড এবং দঃ আফ্রিকা একবার করে খেলে একবার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কিন্তু বাজবল টেকনিকে ক্রিকেট খেলা ইংল্যান্ড এখনও পর্যন্ত তেমন নজর কাড়তে পারেনি। তাই বয়কট বলছেন, ‘এখন যখন নতুন WTC শুরু হচ্ছে, কারোর উচিত ইংরেজ ক্রিকেটারদের বলা মনোরঞ্জন দেওয়ার থেকেও চ্যাম্পিয়ন হওয়া বেশি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। জয়ের পাশাপাশি যদি উপভোগ্য ব্যাটিং দেওয়া যায়, তাহলে সেটা ভালো বিষয়। কিন্তু এখন ওরা বাজবল ছাড়া কিছুই বোঝে না। তাই এটা শুধরাতে হবে। শিখতে হবে ওদের। কিন্তু ওরা তো শিখতে বা বদলাতেও চায় না ’।.