প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ২৭২ রান করে কেকেআর। যেটা আইপিএলের ইতিহাসে কোনও দলের করা এক ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। এই মরশুমেই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ৩ উইকেটে ২৭৭ রান করেছিল। সেটাই রেকর্ড। এদিন মাত্র ৬ রানের জন্য হায়দরাবাদের নজির স্পর্শ করতে পারল না নাইটরা। তবে অন্য দু'টি নজির গড়ে কেকেআর। আইপিএলে তাদের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলল শাহরুখের ফ্র্যাঞ্চাইজি। এর আগে ২০১৮ সালে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের (বর্তমান নাম পঞ্জাব কিংস) বিরুদ্ধে ৬ উইকেটে ২৪৫ রান করেছিল কেকেআর। এদিন সেটাকে ছাপিয়ে গেল তরা। একই সঙ্গে আইপিএলে দিল্লির বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস এখন কলকাতার। এই রেকর্ড আগে ছিল চেন্নাইয়ের। গত বছর ৩ উইকেট হারিয়ে ধোনির দল করেছিল ২২৩ রান। সেই রেকর্ডও ভেঙে দিল নাইটরা।
আউউউটটট… ১৬৬ রানে অলআউট দিল্লি
১৭.২ ওভারে রাসেলের বলে আউট নরকিয়া। ৬ বলে ৪ করেছেন তিনি। ১৬৬ রানে অলআউট হয়ে গেল দিল্লি। ৩ বলে ১ করে অপরাজিত থাকলেন ইশান্ত। ১০৬ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতল নাইটরা। সেই সঙ্গে এই মরশুমের প্রথম তিন ম্যাচ জিতে জয়ের হ্যাটট্রিক করে ফেলল কেকেআর। পাশাপাশি তারা পয়েন্ট টেবলেরও শীর্ষে উঠে এল।
আউউউটটট…. নবম উইকেট হারাল দিল্লি
নয় নম্বর উইকেট হারাল দিল্লি ক্যাপিটালস। ১৭তম ওভারের প্রথম বলে বৈভব আরোরা রাশিখ সালামের উইকেট নিলেন। ৫ বলে ১ করে সল্টের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরলেন রাশিখ। পরিবর্তে ক্রিজে এলেন ইশান্ত শর্মা। ওভারের শেষে ৯ উইকেটে ১৬৬ রান করল নাইটরা। ৩ বলে ১ রান ইশান্তের। ৪ বলে ৪ রান নরকিয়ার।
আউউউটটট…. সুমিত কুমার ফিরলেন সাজঘরে
১৬তম ওভারের প্রথম বলেই সুমিত কুমার ফিরলেন সাজঘরে। নারিনের ডেলিভারিতে ৬ বলে ৭ করে মণিশ পাণ্ডের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হলেন সুমিত। অষ্টম উইকেট হারাল দিল্লি। পরিবর্তে ক্রিজে এলেন এনরিখ নরকিয়া। ১৬তম ওভার শেষে ৮ উইকেটে ১৬১ রান দিল্লির। ২ বলে ১ রান নরকিয়ার। ৪ বলে ১ রান রাশিখের।
হাফসেঞ্চুরি করেই আউট স্টাবস
১৫তম ওভারের প্রথম বলে হাফসেঞ্চুরি পূর করেন ত্রিস্তান স্টাবস। ২৮ বলে তিনি তাঁর অর্ধশতরান পূরণ করেন। এর পর এই ওভারের চতুর্থ বলে চার হাঁকান স্টাবস। কিন্তু পরের বলেই আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ৪টি চার এবং ছক্কার হাত ধরে ৩২ বলে ৫৪ করে সাজঘরে ফেরেন স্টাবস। পরিবর্তে ক্রিজে এলেন রাশিখ সালাম। ১৫ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ১৫৯ রান দিল্লির। ৫ বলে ৭ রান সুমিতের। ১ বল খেললেও রানের খাতা খোলেনি রাশিখ।
১৪তম ওভারে এল ১৯ রান
যা পরিস্থিতি, তাতে দিল্লির হার সময়ের অপেক্ষা। তাও ১৪তম ওভারে সুনীল নারিনকে পিটিয়ে ১৯ রান নিল দিল্লি। ২টি ছক্কা হাঁকান স্টাবস। একটি ছয় মারেন সুমিত। ওভার শেষে দিল্লির সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৪৮ রান। ২৭ বলে ৪৯ রান স্টাবসের। ৪ বলে ৭ রান স্টাবসের।
১৩তম ওভারে পড়ল ২ উইকেট, হ্যাটট্রিকের সুযোগ নষ্ট বরুণের
১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে পন্তকে ফেরান বরুণ। তার পরের বলেই ফেরান অক্ষরকে। পরপর দুই উইকেট পেলেও হ্যাটট্রিক হল না বরুণের। পন্ত ২৫ বলে ৫৫ করে শ্রেয়সের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। তাঁর পরিবর্তে নামা অক্ষর গোল্ডেন ডাক করে মণিশ পাণ্ডের হাতে ক্যাচ দেন। পরিবর্তে ক্রিজে এলেন সুমিত কুমার। এই ওভারে ২ উইকেট হারানোর পর হারের ভ্রুকুটি এখন দিল্লি ক্যাপিটালসের সামনে। ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে দিল্লির সংগ্রহ এখন ১২৯ রান। ২৩ বলে ৩৬ করে লড়াই চালাচ্ছেন স্টাবস। ২ বলে ১ রান সুমিত কুমারের।
৪-৬-৬-৪-৪-৪- বেঙ্কিকে পিটিয়ে ২৮ রান নিলেন পন্ত
৪-৬-৬-৪-৪-৪- বেঙ্কটেশ আইয়ারকে পিটিয়ে ২৮ রান নিলেন পন্ত। দিল্লির জেতাটা কঠিন। কিন্তু পন্তের এই ইনিংস ভোলা নয়। তিনি যে পুরনো ছন্দে পুরোপুরি ফিরে গিয়েছেন, এই ওভারেই তা আরও একবার জোরালো ভাবে প্রমাণ হল। পন্ত ওভারের পঞ্চম বলেই চার হাঁকিয়ে নিজের হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন। ২৩ বলে তিনি অর্ধশতরান করেন। তাঁর এই ইনিংসে রয়েছে পাঁচটি ছক্কা এবং তিনটি চার। ১২ ওভার শেষে দিল্লির সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১২৫ রান। ২৪ বলে ৫৫ রান পন্তের। ২১ বলে ৩৪ রান স্টাবসের।
১০ ওভারে দিল্লির সংগ্রহ ৮৭/৪
১০ ওভার খেলা হয়ে গেল। কিন্তু ১০০ রানও করতে পারল না দিল্লি ক্যাপিটালস। তারা ৪ উইকেট হারিয়ে ৮৭ রান করল। ২৭৩ রান তাড়া করতে নেমে, ১০ ওভারে ৮৭ রানটা মোটেও ভালো পরিসংখ্যান নয়। জিততে হলে দিল্লিকে বাকি ১০ ওভারে অর্থাৎ ৬০ বলে ১৮৬ রান করতে হবে। রানরেট বেড়ে এখন ১৮.৬০ হয়ে গিয়েছে। প্রায় প্রতি ওভারে ১৯-এর কাছাকাছি স্কোর করা কার্যত অসম্ভব। যদি অলৌকিক কিছু না ঘটে। যাইহোক ১৫ বলে ২৪ করে ফেলেছেন পন্ত। ১৮ বলে ২৮ রান ত্রিস্তান স্টাবসের।
৪ উইকেট হারিয়ে পাওয়ার প্লে-তেই ৫০ পার করল দিল্লি
ষষ্ঠ ওভারে বৈভব আরোরাকে ২টি চার মারেন স্টাবস। ওভার থেকে এল ১১ রান। সেই সঙ্গে ৫০ পার করে গেল দিল্লি ক্যাপিটালস। পাওয়ার প্লে-তে ৫১ রান হলেও, ৪ উইকেট হারিয়ে বসে রয়েছে দিল্লি। পন্তের সংগ্রহ ২ বলে ৭ রান। ত্রিস্তান স্টাবস করেছেন ৭ বলে ১০ রান।
আউউউটটট… ওয়ার্নারকে ফেরালেন তাঁর জাতীয় দলের সতীর্থ
পঞ্চম ওভারে ফের উইকেট হারাল দিল্লি। এবার ওভারের তৃতীয় বলে ওয়ার্নারকে ফেরালেন তাঁর জাতীয় দলের সতীর্থ মিচেল স্টার্ক। দ্বিতীয় উইকেট নিলেন স্টার্ক। ১৩ বলে ১৮ করে ক্লিন বোল্ড হন ওয়ার্নার। তার আগের বলেই তিনি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। পরিবর্তে ক্রিজে এসেছেন ত্রিস্তান স্টাবস। ওভারের শেষ বলে স্টার্ককে আরও একটি ছয় হাঁকান পন্ত। ৫ ওভারে ৪০ রান হলেও, দিল্লি ৪ উইকেট হারিয়ে বসে রয়েছে। যেটি নিঃসন্দেহে মারাত্মক চাপের হয়ে গিয়েছে পন্তদের কাছে।
আউউউটটট… অভিষেক পোড়েলকে ফেরালেন বৈভব
ফের উইকেট হারাল দিল্লি। চতুর্থ ওভারের শেষ বলে বৈভব আরোর বলে সাজঘরে ফিরলেন অভিষেক পোড়েল। ৫ বল খেললেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। নারিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে তিনি আউট হন। পরিবর্তে ক্রিজে এলেন নতুন ব্যাটার ঋষভ পন্ত। ৪ ওভার শেষে ২৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। ১০ বলে ১২ করে ক্রিজে রয়েছেন ওয়ার্নার।
আউউউটটট… শূন্য হাতে সাজঘরে ফিরলেন মার্শ
অবশেষে ২০২৪ আইপিএলে উইকেটের খাতা খুললেন মিচেল স্টার্ক। আর তাঁর বলে এদিন খাতা না খুলেই সাজঘরে ফিরলেন মিচেল মার্শ। তৃতীয় ওভারের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গেল দিল্লি ক্যাপিটালস। এদিন ওভারের পঞ্চম ডেলিভারিতে রমনদীপের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন মার্শ। ২ বল খেললেও খালি হাতে সাজঘরে ফেরেন মার্শ। পরিবর্তে ক্রিজে এলেন অভিষেক পোড়েল। ৩ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ২৬ রান নাইট রাইডার্সের। ৮ বলে ১১ করে ক্রিজে রয়েছেন ওয়ার্নার।
আউউউটটট… দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম ধাক্কা খেল দিল্লি
দ্বিতীয় ওভারেই বড় ধাক্কা খেল দিল্লি ক্যাপিটালস। তারা হারালেন পৃথ্বী শ'র উইকেট। ৭ বলে ১০ রান করে আউট হয়ে যান পৃথ্বী। ওভারের পঞ্চম বলে বৈভব আরোরার ডেলিভারিতে ক্যাচ ধরে বরুণ চক্রবর্তী। পরিবর্তে ক্রিজে এলেন মিচেল মার্শ। ২ ওভার শেষে ১ উইকেটে ২১ রান দিল্লির। ৪ বলে ১০ করে ক্রিজে রয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। প্রথম ওভারে ১১ রান নিয়ে শুরুটা করলেও, দ্বিতীয় ওভারেই হোঁচট খেয়ে চাপে পড়ে গেল ডিসি।
রান তাড়া করা শুরু দিল্লির
কেকেআর বিশাল বড় স্কোর করে ফেলেছে। ২৭৩ রানের লক্ষ্য রেখেছে দিল্লির সামনে। এই রান তোলাটা খুব সহজ নয়। তবে মাঠ ছোট। আউটফিল্ডে ভালো গতি রয়েছে। সেটা কাজে লাগাতে হবে দিল্লিকে। পাশাপাশি ওপেনিং জুটিকে বড় পার্টনারশিপ করতে হবে।
আইপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর করল কলকাতা
নাইটরা ভাঙতে পারল না সানরাইজার্স হায়দরাবাদের রেকর্ড। তবে আইপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর করল কলকাতা নাইট রাইডার্স। হায়দরাবাদ ২০২৪ আইপিএলেই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ৩ উইকেটে ২৭৭ রান করেছিল। তার চেয়ে পাঁচ রান কম করল কেকেআর। ৭ উইকেটে ২৭২-এই শেষ হল কেকেআর-এর ইনিংস। এই তালিকার তিনে রয়েছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ২০১৩ সালে পুনে ওয়ারিয়র্সের বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে ২৬৩ রান করেছিল আরসিবি।
২০তম ওভারে ২ উইকেট নিয়ে ৮ রান দিলেন ইশান্ত
২০তম ওভারে ইশান্ত বল করতে আসেন। আর প্রথম বলেই আউট করেন আন্দ্রে রাসেলকে। ৪টি চার এবং ৩টি ছক্কার হাত ধরে ১৯ বলে ৪১ করে ইশান্তের বিষাক্ত ইয়ার্কারে বোল্ড হয়ে যান রাসেল। শুধু তাই নয়, ১৪৪ কিমি গতিতে আসা বলটিকে আটকাতে গিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ে যান রাসেল। রাসেলের পরিবর্তে ক্রিজে আসেন মিচেল স্টার্ক। এর পর তৃতীয় বলেই ইশান্ত ফেরান রমনদীপকে। ২ বলে ২ করে পৃথ্বীর হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন রমনদীপ। পরিবর্তে ক্রিজে আসেন বেঙ্কটেশ আইয়ার। তিনি পঞ্চম বলে একটি চার মেরেছিলেন। শেষ বলে হয় ১ রান। শেষ ওভারে ৮ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নিয়ে দিল্লিকে কিছুটা স্বস্তি দিলেন ইশান্ত। নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৭২ রান করল কেকেআর।
আউউউটটটট…১৯তম ওভারে এল ২৫ রান এলেও সাজঘরে ফিরলেন রিঙ্কু
১৯তম ওভারে নরকিয়াকে পিটিয়ে ছাতু করলেন রিঙ্কু। এই ওভার থেকে এল মোট ২৫ রান। রিঙ্কু তিনটি ছক্কা এবং একটি চার মেরেছেন। তবে ওভারের শেষ বলে সাজঘরে ফিরলেন রিঙ্কু। তিনটি ছক্কা, একটি চারের হাত ধরে ৮ বলে ২৬ রান করে আউট হয়ে যান রিঙ্কু। তাঁর ক্যাচ ধরেন ডেভিড ওয়ার্নার। ১৯তম ওভারে ২৫০ পার করে গেল নাইটরা। তাদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৬৪ রান। পরিবর্তে ক্রিজে এসেছেন রমনদীপ। ১৮ বলে ৪১ করে ক্রিজে রয়েছেন আন্দ্রে রাসেল।
আউউউটটট… সাজঘরে ফিরলেন শ্রেয়স
চতুর্থ উইকেট পড়ল কেকেআর-এর। ১৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলেই সাজঘরে ফিরলেন শ্রেয়স। আগের বলেই ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। পরের ডেলিভারিতেই ১১ বলে ১৮ করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। খালিল আহমেদের বলে ত্রিস্তান স্টাবস ক্যাচ ধরেন। পরিবর্তে ক্রিজে এসেছেন রিঙ্কু সিং। ১৮ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ২৩৯ রান কলকাতা নাইট রাইডার্সের। ১৮ বলে ৪১ করে ফেলেছেন রাসেল। ২ বলে ২ রান রিঙ্কুর।
২০০ পার কেকেআর-এর
১৬তম ওভারে ২০০ পার করে গেল কলকাতা নাইট রাইডার্স। এই ওভারে এসেছে ১০ রান। ওভার শেষে ৩ উইকেটে ২০৫ রান কলকাতার। ১২ বলে ২৭ রান রাসেলের। ৬ বলে ৫ রান শ্রেয়সের।
আউউউটটট… সাজঘরে ফিরলেন অংক্রিশ
তৃতীয় উইকেট হারাল কেকেআর। ২৭ বলে ৫৪ করে সাজঘরে ফিরলেন অংক্রিশ রঘুবংশী। ৫টি চার, ৩টি ছক্কা রয়েছে তাঁর এই ইনিংসে। ১৪তম ওভারে দ্বিতীয় বলে এনরিখ নরকিয়া ফেরান অংক্রিশকে। ক্যাচ ধরেন ইশান্ত শর্মা। পরিবর্তে ক্রিজে এলেন শ্রেয়স আইয়ার। ১৪ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ১৮১ রান নাইট রাইডার্সের। ৪ বলে ৯ রান রাসেলের। ২ বলে ১ রান শ্রেয়সের।
হাফসেঞ্চুরি অংক্রিশের
দুরন্ত ছন্দে হাফসেঞ্চুরি করে ফেললেন অংক্রিশ। ১৪তম ওভারেই নারিন আউট হন। আ এই ওভারে নিজের হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন অংক্রিশ। ২৫ বলে অর্ধশতরান করে ফেলেন তরুণ ব্যাটার। তাঁর এই ইনিংসে রয়েছে ৩টি ছক্কা, চারটি চার। অংক্রিশ ২৫ বলে হাফসেঞ্চুরি করে নজিরও গড়ে ফেলেন। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে একজন আনক্যাপড ক্রিকেটারের দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি এটি। তাঁর অর্ধশতরানের পর নাইট ডাগআউটের প্রত্যেকেই উঠে দাঁড়িয়ে শুভেচ্ছা জানান। এমনকী গ্যালারিতে থাকা কিং খানও স্ট্যান্ডিং ওভেশন দেন। সঙ্গে থামস আপ দেখান অংক্রিশের জন্য। ওভার শেষে কেকেআর-এর সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৭১ রান।
আউউউটটটট… ১৫ রানের জন্য সেঞ্চুরি হল না নারিনের
ভাইজ্যাগে ঝড় বইয়ে দিয়ে সাজঘরে ফিরলেন সুনীল নারিন। সেঞ্চুরি থেকে ১৫ রান দূরেই থামলেন নারিন। ৩৯ বলে ৮৫ রানের ঝোড়ো একটি ইনিংস খেলে আউট হন নারিন। তাঁর ইনিংসে ছিল ৭টি করে চার এবং ছক্কা। ওপেন করতে নেমে নারিন কেকেআর-কে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। ১৩তম ওভারের তৃতীয় বলে মিচেশ মার্শ ফেরান নারিনকে। ক্যাচ ধরেন ঋষভ পন্ত। নারিনের পরিবর্তে ক্রিজে আসেন আর এক ক্যারিবিয়ান তারকা আন্দ্রে রাসেল।
১৫০ করে ফেলল কেকেআর
১১তম ওভারেই ১৫০ করে ফেলল কলকাতা নাইট রাইডার্স। সুনীল নারিনের হাওয়া যেন লেগে গিয়েছে তরুণ অংক্রিশের গায়ে। রাশিখ সালামকে ২টি ছক্কা মেরে কলকাতার রান ১৫০-তে পৌঁছে দিলেন অংক্রিশ। ১ উইকেট হারালেও, ভালো জায়গায় কেকেআর। ২১ বলে ৪৬ করে ফেলেছেন অংক্রিশ। ৩৩ বলে ৭৫ রান নারিনের।
১০ ওভারে কলকাতার সংগ্রহ ১৩৫/১
১০ ওভারে কলকাতা ১ উইকেট হারালেও, ১৩৫ রান করে ফেলেছে। তবে দশম ওভারে মিচেল মার্স বল করতে এসে ৯ রান দেন। ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী বেশ ভালো ওভার দিল্লির জন্য। ৩২ বলে ৭৪ করে ফেলেছেন সুনীল নারিন। ১৬ বলে ৩৩ রান অংক্রিশের।
১০০ পার করে গেল কলকাতা
অষ্টম ওভারেই ১০০ পার করে গেল কলকাতা নাইট রাইডার্স। সুনীল নারিন একেবারে বিধ্বংসী মেজাজে রয়েছেন। অষ্টম ওভারেও অক্ষর প্যাটেলকে দু'টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। এছাড়া এই ওভারে একটি চার মেরেছেন অংক্রিশ। ৮ ওভার শেষে কেকেআর-এর সংগ্রহ ১ উইকেট হারিয়ে ১১২ রান। ৯ বলে ১৮ রান অংক্রিশের। ২৭ বলে ৬৭ রান নারিনের।
২১ বলে হাফসেঞ্চুরি নারিনের, পাওয়ার প্লে-তে নাইটদের সংগ্রহ ৮৮/১
বিধ্বংসী মেজাজে রয়েছেন সুনীল নারিন। তিনি ঝড় তুলে ২১ বলে হাফসেঞ্চুরি করে ফেললেন। তাঁর এই ইনিংসে রয়েছে ৪টি ছক্কা এবং ৬টি চার। পাওয়ার প্লে শেষে ভালো জায়গায় নাইটরা। তাদের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৮৮ রান। নারিনের সঙ্গে ৩ বলে ১০ করে ক্রিজে রয়েছেন অংক্রিশ।
আউউউটটট… জীবনদান পাওয়ার পরের বলেই আউট ফিল সল্ট
প্রথম উইকেট হারাল কলকাতা নাইট রাইডার্স। পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলে সল্টের ক্যাচ ফেলে দিয়েছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। ২ রান হয় ওই বলে। কিন্তু পরের বলেই সাজঘরে ফেরেন সল্ট। ১২ বলে ১৮ রান করে এনরিখ নরকিয়ার বলে স্টাবসের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন সল্ট। পরিবর্তে ক্রিজে এলেন অংক্রিশ রঘুবংশী। তিনি নেমেই পরপর দু'টি চার হাঁকান নরকিয়াকে। শেষ বলে হয় ২ রান। সেই সঙ্গে পঞ্চম ওভার শেষে ১ উইকেট হারালেও, কলকাতার পৌঁছে গেল ৭০ রানে। ১৫ বলে ৩৪ রান নারিনের। ৩ বলে ১০ রান অংক্রিশের।
চতুর্থ ওভারে এল ২৬ রান, ৫০ পার কেকেআর-এর
ইশান্ত শর্মা চতুর্থ ওভারে বল করতে এলে, তাঁকে পিটিয়ে ছাতু করলেন সুনীল নারিন। ৬-৬-৪-০-৬-৪- মোট ২৬ রান হল এই ওভারে। সেই সঙ্গে ৫০ পার করে গেল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ৪ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ৫৮ রান নাইট রাইডার্সের। ১৫ বলে ৩৪ করে ফেলেছেন সুনীল নারিন। ৯ বলে ১৬ রান ফিল সল্টের।
তৃতীয় ওভারে এল ১৫ রান
তৃতীয় ওভারে এল ১৫ রান। নারিন এবং সল্ট মিলে খালিলকে ৩টি চার মেরেছেন এই ওভারে। ওভার শেষে কেকেআর-এর সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৩২ রান। চারটি চারের হাত ধরে ৯ বলে ১৬ করে ফেলেছেন সল্ট। একটি চারের সৌজন্যে ৯ বলে ৮ রান নারিনের।
দুই ওভারে হল ১৭
ইনিংসের প্রথম ওভারের সাত রান দেন ফিল সল্ট। প্রথম বলেই লেগ বাইয়ে চার হয়। বাকি তিন রানও অতিরিক্ত হয়। সুনীল নারিন এবং ফিল সল্ট তিন বল করে খেলেও প্রথম ওভারে রানের খাতা খুলতে পারেননি।কিন্তু দ্বিতীয় ওভারে খাতা খোলেন দুই ব্যাটারই। তবে ৬ বলে ১ রান নারিনের। ফিল সল্ট ৬ বল খেলে ৮ রান করে ফেলেছেন। ২ ওভার শেষে কেকেআর-এর স্কোর বিনা উইকেটে ১৭ রান।
দুই দলের একাদশ
কলকাতা নাইট রাইডার্স: ফিল সল্ট (উইকেটরক্ষক), সুনীল নারিন, বেঙ্কটেশ আইয়ার, শ্রেয়স আইয়ার (অধিনায়ক), অংক্রিশ রঘুবংশী, রিংকু সিং, আন্দ্রে রাসেল, রমনদীপ সিং, মিচেল স্টার্ক, হর্ষিত রানা, বরুণ চক্রবর্তী। ইমপ্যাক্ট সাব: সুয়াশ, অনুকুল, পান্ডে, অরোরা এবং গুরবাজ।দিল্লি ক্যাপিটালস: পৃথ্বী শ', ডেভিড ওয়ার্নার, ঋষভ পন্ত (অধিনায়ক, উইকেটরক্ষক), মিচেল মার্শ, ত্রিস্তান স্টাবস, অক্ষর প্যাটেল, সুমিত কুমার, রাশিখ সালাম, এনরিখ নরকিয়া, ইশান্ত শর্মা, খলিল আহমেদ। ইমপ্যাক্ট সাব: পোরেল, কুশাগ্রা, দুবে, ললিত এবং ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক
টস জিতে ব্যাটিং নিল কেকেআর
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। কেকেআর অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার দাবি করেছেন, এই পিচটি ব্যাটারদের সুবিধে দেবে। নাইটরা চাইবে বড় রানের লক্ষ্য ঝোলাতে দিল্লির সামনে। এদিকে, এদিন দুই কেকেআর এবং দিল্লি- দুই দলেরই একাদশে পরিবর্তন হয়েছে। কলকাতার একাদশে ঢুকেছেন অনুকুল রায়ের বদলে অংক্রিস রঘুবংশী। এদিকে দিল্লির মুকেশের চোট থাকায়, তাঁর জায়গায় দলে ঢুকেছেন সুমিত কুমার।
দুই দলের দ্বৈরথের পরিসংখ্যান
আইপিএলের ইতিহাসে এই দুই দলের লড়াই একেবারে সেয়ানে সেয়ানে। ৩২ বার মুখোমুখি হয়েছে এই দিল্লি ক্যাপিটালস এবং কলকাতা নাইট রাইডার্স। দিল্লি জিতেছে ১৫ বার, কেকেআর ১৬ বার। একটি ম্যাচে ফলাফল হয়নি। এদিন সৌরভের দিল্লি কি সমতা ফেরাবে? নাকি শাহরুখের কলকাতা ব্যবধান বাড়াবে?
দিল্লির অবস্থান
দিল্লি নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচ হেরেছে। পঞ্জাব কিংস এবং রাজস্থান রয়্যালসের কাছে হারের পরে, তৃতীয় ম্যাচে মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের হারিয়েছে তারা। ভাইজ্যাগে এদিন নাইটদের মুখোমুখি হয়ে জয়ের ধারাই ধরে রাখতে চাইবে পন্ত ব্রিগেড। দিল্লি দলে এদিন প্রত্যাবর্তন করতে পারেন কুলদীপ যাদব। শেষ ম্যাচে চোটের জন্য খেলেননি তিনি। সিএসকে-র বিরুদ্ধে এবারের আইপিএলে প্রথম সুযোগ পেয়ে, পৃথ্বী শ' সেটা কাজে লাগিয়েছেন। এই মুহূর্তে দিল্লি ৩ ম্যাচ খেলে ২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলের সাতে রয়েছে।
কেকেআর-এর হাল
প্রথম দুই ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে ভালো জায়গায় রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্রথম দু'টি ম্যাচে ব্যাট-বলে কেকেআরের জয়ে একাধিক প্লেয়ার নজরকাড়া পারফরম্যান্স করেছেন। সেই তালিকায় নাম রয়েছে ফিল সল্ট, আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিন, বেঙ্কটেশ আইয়ার, হর্ষিত রানাদের। তবে মিচেল স্টার্কের ফর্ম চিন্তায় রেখেছে নাইট শিবিরকে। ২ ম্যাচে ৮ ওভার বল করে বিনা উইকেটে ১০০ রান বিলিয়েছেন স্টার্ক। যেটা কেকেআর-এর মাইনাস পয়েন্ট হয়ে গিয়েছে। এই মুহূর্তে ২ ম্যাচের দু'টিতেই জিতে চার পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলের দুইয়ে রয়েছে কেকেআর।