শুভব্রত মুখার্জি: কথায় বলে, লোকে ঠেকে শেখে। মানে পরিবেশ, পরিস্থিতিতে পড়লে মানুষ নিজের মতন করে ঠিক শিখে নেয়। ঠিক যেমনটা ঘটেছে ভারতীয় দলের হয়ে খেলা ক্রিকেটার ময়াঙ্ক আগরওয়ালের সঙ্গে। গত মাসের শেষ দিকেই রঞ্জি খেলে ত্রিপুরা থেকে দিল্লিগামী বিমানে ওঠার পরে সেখানে পানীয় নেওয়ার পরপরেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। বিমান থেকে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে নামিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কার্যত মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন তিনি।
আরও পড়ুন: ৪-৫ বছর আগে রোহিতের একটা ফোনই কি বদলে দিয়েছিল যশস্বীর ক্যারিয়ার? খোলসা করলেন তরুণ তারকার শৈশবের কোচ
আর সেই ঘটনা থেকে যে তিনি শিক্ষা নিয়েছেন, তা বলাই যায়। এবার বিমানে একেবারে নিজের জলের বোতল সহ উঠেছেন তিনি। আর বিমানের ভিতরেই নিজের জলের বোতল হাতে একটি ছবি তিনি তাঁর সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করেছেন।
আরও পড়ুন: ঘুর্ণি পিচ বানিয়ে ইংল্যান্ডকে ধরাশায়ী- নিন্দুকদের এহেন সমালোচনা ফুৎকারে ওড়ালেন রোহিত
বিমানের জানলার পাশের সিটে বসে রয়েছেন ময়াঙ্ক আগরওয়াল। তাঁর বাঁ হাতে ধরা রয়েছে একটি জলের বোতল। সেই অবস্থাতেই একটি নিজস্বী তুলে তা পোস্ট করেছেন তিনি। কিছুটা মজার ছলে লিখেছেন ,‘বিলকুল ভি রিস্ক নেহি লেনে কা রে বাবা।’ অর্থাৎ একেবারেই আর রিস্ক অর্থাৎ ঝুঁকি নেওয়া যাবে না। তাঁর টুইটটি রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য, সেই ঘটনার পরপরেই হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করতে হয়েছিল কর্ণাটকের অধিনায়ক ময়াঙ্ক আগরওয়ালকে। ঘটনার জেরে ময়াঙ্কের গলা ফুলে যায়। তাঁর আলসার অর্থাৎ ঘাও হয়ে গিয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ঘটনা ঘটেছিল ৩০ জানুয়ারি। রঞ্জিতে কর্ণাটকের ম্যাচ ছিল ত্রিপুরার বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচ খেলে দিল্লি যাওয়ার জন্য ইন্ডিগোর বিমান ধরেছিলেন ময়াঙ্ক আগরওয়াল। সেই বিমানে তাঁর জল তেষ্টা পেলে তিনি একটি পাউচে থাকা তরলকে জল ভেবে ভুল করে খেয়ে ফেলেন। সঙ্গে সঙ্গে অস্বস্তি বোধ করেন তিনি। গলা বুকে অসহ্য জ্বালা শুরু হয়। অবস্থার গুরুত্ব বুঝে তাঁকে বিমান থেকে নামিয়ে জরুরীকালীন ভিত্তিতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আইসিইউতে ভর্তি হন তিনি। তারপর সুস্থ হয়ে ফের মাঠে ফিরেছেন তিনি। তাই আর কোনও ঝুঁকি নিতে তিনি নারাজ। এবার নিজের জলের বোতলকেই সঙ্গী করে তিনি উঠে পড়েন বিমানে। উল্লেখ্য চলতি রঞ্জি মরশুমে বেশ ভালো ফর্মে রয়েছেন ময়াঙ্কও। ব্যাট হাতে প্রথম চার ম্যাচে তিনি করেছিলেন ৪৬০ রান।