বিজয় হাজারে ট্রফিতে জয়ের হ্যাটট্রিক করল বাংলা দল। কেরলকে ২৪ রানে হারিয়ে দিল সুদীপ ঘরামির ছেলেরা। ম্যাচ অবশ্য যথেষ্ট কঠিন ছিল, কারণ ব্যাট হাতে তেমন বড় রান তুলতে পারেনি বাংলা। কিন্তু হায়দরাবাদের মাঠে সায়ন ঘোষের বিধ্বংসী স্পেলে ম্যাচ জিতেছিল লক্ষ্মীরতন শুক্লার ছেলেরা। বাংলা করা ২০৬ রানের জবাবে ১৮২ রানেই অলআউট হয়ে যায় কেরল দল। স্লগ ওভারে দুরন্ত বোলিং করেন সায়ন, কেরলের শেষ পাঁচজন ব্যাটারকেই আউট করেন ৩২ বছর বয়সী এই পেসার।
আরও পড়ুন- এক বছরে টেস্টে ১৪৭৮ রান! যশস্বী টপকালে সানি-বীরুকে! শীর্ষে এখনও সচিন তেন্ডুলকর, কত রান?
বিজয় হাজারেতে জয়ের হ্যাটট্রিক বাংলার-
বিজয় হাজারে ট্রফিতে বাংলা দলের অভিযানটা ভালোই শুরু হয়েছিল। প্রথম ম্যাচেই তাঁরা হারিয়ে দিয়েছিল শক্তিশালী দিল্লিকে। দ্বিতীয় ম্যাচেও জয়ের সুযোগ ছিল বাংলা দলের সামনে। কিন্তু ত্রিপুরার বিরুদ্ধে সেই ম্যাচ পুরোপুরি হওয়া সম্ভব হয়নি, ফলে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়ে যায়। এরপর আরেক শক্তিশালী দল পাণ্ডিয়া ভাইদের বরোদাকেও গত ম্যাচে হারিয়েছিল অভিষেক পোড়েল, সুদীপ ঘরামিরা। এবার তাঁরা জিতল কেরলের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন-Video-ফের ল্যাবুশানের সঙ্গে বেল নিয়ে তুকতাক সিরাজের! কাজে এল! তবে এবার আউট
টপ অর্ডার ব্যর্থ হয়-
এই ম্যাচে বাংলা দলের ব্যাটিং একদমই ভালো হয়নি। টপ অর্ডার চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়ে যায়। যার ফলে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় বাংলা দল। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথমেই ওপেনার তথা অধিনায়ক সুদীপ ঘরামির উইকেট হারায় বাংলা, মাত্র ৪ রান করেন তিনি। এরপরই আরেক ইন ফর্ম ব্যাটার অভিষেক পোড়েল মাত্র ৮ রান করে আউট হয়ে যান। সুদীপ চট্টোপাধ্যায় আউট হন ১৩ রানে।
প্রদীপ্তর সুবাদে ভদ্রস্থ রান করে বাংলা-
৩৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলা। এরপর খেলা ধরেন কনিষ্ক শেঠ তিনি করেন ৩২, তবে ব্যর্থ হন ছন্দে থাকা ব্যাটার অনুষ্টুপ মজুমদার। শেষ পর্যন্ত প্রদীপ্ত প্রামাণিকের অপরাজিত ৭৪ রানের ইনিংসের সৌজন্যে বাংলা দল লড়াইয়ের জমি পায়। সুমন্ত গুপ্ত ২৪ রান এবং কৌশিক মাইতির ২৭ রানের ইনিংসের সৌজন্যে ৫০ ওভারে বাংলার স্কোর পৌঁছায় ৯ উইকেটে ২০৬ রানে।
একাই পাঁচ উইকেট সায়নের-
জবাবে ব্যাট করতে নেমে সায়ন ঘোষ এবং মুকেশ কুমারদের দুরন্ত বোলিংয়ের সামনে চাপে পড়ে যায় কেরল। তাঁরা নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে। রোহন কুন্নামুল ১৭, আহমেদ ইমরান ১৩, শন রজার ২৯, সলমন নিজার ৪৯ এবং মহম্মদ আজহারউদ্দিন ২৬ রান করেন। একটা সময় তাঁদের হাতের মুঠোয় ম্যাচ ছিল, কিন্তু বংলার বোলাররা স্লগ ওভারে দুরন্ত বোলিং করে ম্যাচ নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে আসেন। মুকেশ কুমার এবং কৌশিক মাইতি দুটি করে উইকেট নেন। শেষ দিকে বল হাতে বিধ্বংসী স্পেল করেন সায়ন ঘোষ। তিনি তুলে নেন ৫ উইকেট। প্রদীপ্ত প্রামাণিক নেন ১ উইকেট।