নেদারল্যান্ডসের কাছে টি-২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে হারার পরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল শ্রীলঙ্কা কতটা তৈরি, সেই বিষয়ে। পরে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় অনুশীলন ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে আত্মবিশ্বাস ফেরানোর চেষ্টা করে দ্বীপরাষ্ট্র। যদিও শ্রীলঙ্কার কম্বিনেশনে ফাঁক-ফোকর যে বিস্তর, সেটা বোঝা যায় বিশ্বকাপের প্রথম গ্রুপ ম্যাচেই।
সোমবার নিউ ইয়র্কে ডি-গ্রুপের প্রথম ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকা। চূড়ান্ত ব্যাটিং ভরাডুবির মাশুল দিয়ে ম্যাচ হারে শ্রীলঙ্কা। তারা তাদের টি-২০ বিশ্বকাপের ইতিহাসে তো বটেই, এমনকি আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটের ইতিহাসে সব থেকে কম রানে অল-আউট হওয়ার লজ্জাজনক নজির গড়ে।
নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। যদিও তাদের সিদ্ধান্ত কতটা যথাযথ, সেই বিষয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। শ্রীলঙ্কা ১৯.১ ওভারে মাত্র ৭৭ রানে অল-আউট হয়ে যায়। দলের হয়ে সব থেকে বেশি ১৯ রান করেন কুশল মেন্ডিস। তিনি ৩০ বলে ১৯ রানের টেস্ট সুলভ ইনিংস খেলেন। মারেন ১টি মাত্র চার।
১৬ বলে ১৬ রান করেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ। তিনি ২টি ছক্কা মারেন। ১৫ বলে ১১ রানের ধীর ইনিংস খেলেন কামিন্দু মেন্ডিস। তিনি ১টি চার মারেন। বাকিরা কেউই দুই অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি। পাথুম নিশঙ্কা ৩, চরিথ আসালঙ্কা ৬, দাসুন শানাকা ৯ ও মাহিশ থিকশানা ৭ রান করেন। খাতা খুলতে পারেননি ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, সাদিরা সমরাবিক্রমে, মাথিসা পথিরানা ও নুয়ান তুষারা।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৪ ওভারে মাত্র ৭ রান খরচ করে ৪টি উইকেট দখল করেন এনরিখ নরকিয়া। এটি তাঁর টি-২০ কেরিয়ারের সেরা বোলিং পারফর্ম্যান্স। টি-২০ বিশ্বকাপের এক ম্যাচে ৪ ওভারের বোলিং কোটায় সব থেকে কম রান খরচ করার বিশ্বরেকর্ড গড়েন নরকিয়া।
এছাড়া ৪ ওভারে ২১ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট নেন কাগিসো রাবাদা। ৪ ওভারে ২২ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন কেশব মহারাজ। ৪ ওভারে ৯ রান খরচ করে ১টি উইকেট পকেটে পোরেন ওটনেল বার্টম্যান।
পালটা ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকাও রান তুলতে সমস্যায় পড়ে। তারা শেষমেশ ১৬.২ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ৮০ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। সুতরাং, ২২ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে ম্যাচ জেতে প্রোটিয়ারা।
কুইন্টন ডি'কক ২৭ বলে ২০ রান করেন। মারেন ১টি ছক্কা। ১৪ বলে ১২ রান করেন এডেন মার্করাম। তিনিও ১টি ছক্কা মারেন। ২৮ বলে ১৩ রান করেন ত্রিস্তান স্টাবস। ১টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ২২ বলে ২৯ রান করে অপরাজিত থাকেন এনরিখ ক্লাসেন। মিলার নট-আউট থাকেন ৬ বলে ৬ রান করে।
শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ৩.২ ওভার বল করে ২২ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট তুলে নেন। ১টি করে উইকেট নেন দাসুন শানাকা ও নুয়ান তুষারা। সঙ্গত কারণেই ম্যাচের সেরা হন নরকিয়া।