শুভব্রত মুখার্জি: ২০২৩ ওডিআই বিশ্বকাপটা স্বপ্নের মতন কেটেছিল ভারতীয় দলের কাছে। যদিও একেবারে শেষ ধাপে চূর্ণ হয়েছিল সেই স্বপ্ন।ফাইনালে এসে অস্ট্রেলিয়ার সামনে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছিল ভারতীয় দল।গ্রুপ পর্বের সমস্ত ম্যাচ জিতে,নক আউট পর্বের ম্যাচ জিতে ফাইনালে পৌঁছেছিল রোহিত শর্মারা। গুজরাটের আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে সেদিন ফাইনালে স্বাভাবিকভাবেই দলের পাশাপাশি আত্মবিশ্বাস নিয়েই মাঠে উপস্থিত হয়েছিলেন ১ লাখের ও বেশি দর্শক।
টিভির পর্দায় চোখ রেখেছিলেন অগুণতি ভক্তরা। তবে সেই রাতে ভারতের স্বপ্ন অধরা থেকে গিয়েছিল। অনবদ্য শতরানে ভারতের মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়েছিল ট্র্যাভিস হেড। সেই বিশ্বকাপ ফাইনাল হারের স্মৃতি এখনও ভারতীয় ক্রিকেটের ভক্তদের মনে টাটকা। অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও ভুলতে পারেননি সেই রাতের দুঃস্বপ্ন। সেই বিষয়ে বলতে গিয়েই রোহিত জানিয়েছেন ওই ফাইনালে হারের পর মনে হয়েছিল গোটা দেশ হয়তো আমাদের উপর রেগে রয়েছে।
আরও পড়ুন… IPL 2024 Points Table: জয়ের খাতা খুলেই RCB-DC কে পিছনে ফেলল MI, তিন নম্বরে উঠে এল LSG
‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো’ বলে একটি শো'তে উপস্থিত হয়েছিলেন রোহিত শর্মা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারও। সেখানেই এই কথাটা বলেছেন রোহিত শর্মা। রোহিতের মতে ওই দিন রাতে ফাইনালে হারের পরেও সমর্থকরা যেভাবে সমর্থন দিয়েছিল তাতে আমরা সত্যিই অভিভূত এবং অবাকও হয়ে গিয়েছিলাম। পরপর ১০ ম্যাচ জিতে দলের আত্মবিশ্বাস একেবারে তুঙ্গে ছিল। যাকে রোহিত বলেছেন যেন ‘অটোপাইলট’ মোড অর্থাৎ স্বয়ংক্রিয় মোডে ছিল।
আরও পড়ুন… IPL 2024 LSG vs GT: যশ ঠাকুরের গতির সামনে থমকে গেল গিলের গুজরাট! লখনউ জিতল ৩৩ রানে
রোহিত শর্মা জানিয়েছেন, ‘ওই ফাইনালের দুই দিন আগে আমরা গুজরাটের আমদাবাদ পৌঁছে গিয়েছিলাম। আমার নিজেদের অনুশীলন করি। টিমের সঙ্গে খুব ভালো মোমেন্টাম ছিল। দেখে মনে হচ্ছিল দল যেন অটো পাইলট মোডে রয়েছে। এরপর ম্যাচ শুরু হয়। আমরা শুরুটা ভালো করি। শুভমন গিল তাড়াতাড়ি আউট হয়ে যায়। এরপর আমার আর বিরাটের একটা ভালো পার্টনারশিপ হয়। আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। বিশ্বাস ছিল যে একটা ভালো স্কোর আমরা করব। আমার মতে বড় ম্যাচে যদি আমরা ভালো স্কোর করতে পারি তাহলে বিপক্ষকে চাপে ফেলতে পারি। কারণ ভালো স্কোর থাকলে বিপক্ষ নিজে থেকেই চাপে পড়তে পারে। তবে অস্ট্রেলিয়া ভালো ক্রিকেট খেলেছে। আমরা মাত্র চল্লিশ রানের মধ্যে তিনটি উইকেটও নিতে সমর্থ হয়েছিলাম। এরপর অস্ট্রেলিয়া একটা বড় পার্টনারশিপ গড়ে আর তাতেই ম্যাচটা ওরা বের করে নিয়ে যায়। আমি ভেবেছিলাম বিশ্বকাপ এবার আমাদের দেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে আমরা হয়তো বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হব। আমার মনে হয়েছিল ফাইনালে হারের পরে গোটা দেশ হয়তো আমাদের উপর রেগে থাকবে। কিন্তু এরপরেও আমি শুনি লোকেরা আমাদের প্রশংসা করেছে। কত ভালো আমরা খেলেছি তা বলেছে। তারা আমাদের খেলা দেখে কতটা উপভোগ করেছে তা বলেছে। আমি এতে সত্যিই অভিভূত।’