২০২৪ সালে কি কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটবে টাটা কন্সাল্টেন্সি সার্ভিসেস? উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম বড় আইটি সংস্থা প্রতি বছর কয়েক হাজার ফ্রেশারকে চাকরি দিয়ে তাদের ক্যারিয়ারের 'লঞ্চপ্যাড' হয়ে দাঁড়ায়। তবে বিগত কয়েক বছর ধরে মার্কিন অর্থনীতির শ্লথ গতির জেরে ভারতের আইটি সংস্থাগুলির কাজের চাহিদা কমেছে। এছাড়া বিগত কয়েক বছরে আচমকাই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের আবির্ভাব ঘটেছে। যার জেরে বহু আইটি সংস্থা কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হেঁটেছে। এই আবহে আশঙ্কা করা হচ্ছিল, ২০২৪ সালে হয়ত টিসিএস কর্মী নিয়োগের গতি কমিয়ে দেবে। তবে এবছর ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করা বিভিন্ন পড়ুয়াদের জন্য সুখবর শোনাল টিসিএস। সংস্থাক সিইও সাফ ভাষায় জানিয়ে দিলেন, কর্মী নিয়োগে কাটছাঁট করার কোনও পরিকল্পনা তাদের নেই। তবে টিসিএস প্রধান কে কৃতিবাসন বলেন, 'চাহিদার সঙ্গে খাপ খাইয়ে কর্মী নিয়োগ করবে সংস্থা।' (আরও পড়ুন: 'ফাঁক গলে রেহাই মিলবে না', লোকসভা ভোটের আগে আমলা বদলি নিয়ে কড়া নির্বাচন কমিশন)
আরও পড়ুন: নিজের ঘরেও ট্রাম্পের কাছে হার নিকির, তাও কেন হাল ছাড়ছেন না এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত?
ন্যাসকম ইভেন্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় কে কৃতিবাসন বলেন, 'আমরা দেখতে পাচ্ছি যে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। ঊর্ধ্বমুখী অর্থনীতির দিকে তাকে আমাদের মনে হয় আমাদের কাজ করার আরও লোক চাই। আমাদের কর্মী নিয়োগে কাটছাঁট করার কোনও পরিকল্পনা নেই। আমরা আগে যেভাবে কর্মী নিয়োগ করতাম, এবছরও তাই চালিয়ে যাব। তবে কর্মী নিয়োগের ফেজ হয়ত বা চাহিদার সঙ্গে খাপ খাইয়ে বদল করা হতে পারে। তবে কর্মী নিয়োগে সার্বিক ভাবে কোনও কাটছাঁট করা হবে না।' টিসিএস কর্তার কথায়, সংস্থা মধ্য এবং দীর্ঘমেয়াদী বিষয়ের দিকে তাকিয়ে কাজ করছে। উল্লেখ্য, গত ত্রৈমাসিকে টিসিএস ৮.২ শতাংশ হারে বৃদ্ধি করেছে তাদের লভ্যাংশ। তবে যে মার্কিন মার্কেট থেকে তাদের উপার্জনের দুই-তৃতীয়াংশ আসে, সেখানে সংস্থার লাভের অংক ৩ শতাংশ নেমেছে। অর্থাৎ, লাভ হলেও গতবারের তুলনায় তা কম। এই আবহে গত ডিসেম্বরে সংস্থার রিপোর্ট প্রকাশের সময় কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও পরিসংখ্যান পেশ করেনি তারা।