করোনা র জেরে অনলাইন ক্লাস এখন মূল ভরসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির। তবে ক্লাসরুম শিক্ষার বিকল্প কোনও ভাবেই যে অনলাইন ক্লাস হতে পারে না তা বোঝাই গিয়েছে। তাই পরিস্থিতি বিবেচনা করে CBSE-র কাছে শিক্ষাবর্ষের মেয়াদ বৃদ্ধির আর্জি জানাল দিল্লি সরকারের শিক্ষা দফতর। সেই সঙ্গে মে, ২০২১ এর আগে বোর্ড পরীক্ষার আয়োজন না করারও আর্জি জানিয়েছে শিক্ষা দফতর।শিক্ষা দফতরের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর সরোজ বালা সাঁই কন্ট্রোলার অফ এক্সামিনেশন কে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের স্কুলে পড়াশোনার উপযুক্ত সময় দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।চিঠিতে বলা হয়, ৩১ অক্টোবর ২০২০ পর্যন্ত স্কুল গুলি বন্ধ থাকায় ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে প্রায় ৭ মাস ক্লাসরুম পঠন পাঠন বন্ধ। লাইভ অনলাইন, বা সেমি অনলাইন ক্লাস চললেও তা কখনোই ক্লাসরুম শিক্ষার বিকল্প হতে পারে না।চিঠিতে বলা হয়, প্রতি বছরের মতো বর্তমান শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের বোর্ড পরীক্ষা যেন ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে না নেওয়া হয়। বলা হয়েছে, মে ২০২১ এর আগে যেন বোর্ড পরীক্ষা না নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে অনুরোধ করা হয়েছে, পরবর্তী শিক্ষাবর্ষ এপ্রিলে না শুরু করে যেন জুলাইতে শুরু করা হয়।বিভিন্ন বিষয়ের প্রাকটিক্যাল ওয়ার্ক নিয়েও চিঠিতে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। হাতে কলমে শিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত সময় দেওয়া প্রয়োজন। এ জন্য বোর্ডের কাছে প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা নিয়ে বিস্তারিত নির্দেশিকা দেওয়ার বা বিকল্প কোনও পথের কথা ভাবার অনুরোধ করা হয়েছে চিঠিতে।CBSE বোর্ড ইতিমধ্যেই সমস্ত বিষয় থেকে ৩০% সিলেবাস ছাটাই করেছে। তবু শিক্ষা দফতর চলতি শিক্ষাবর্ষের সিলেবাস আরও কিছুটা কমানোর অনুরোধ জানিয়েছে।একটি আলাদা চিঠিতে শিক্ষা দফতর বোর্ডকে অনুরোধ করেছে, করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বোর্ড পরীক্ষার ফি দেওয়ার ক্ষেত্রে যেন দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বেশি সময় দেয়। ফি জমা দেওয়ার তারিখ ১৫ অক্টোবর থেকে বাড়িয়ে যেন ১৪ নভেম্বর করা হয়। সরকারের তরফে ফি মকুব করারও অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু ত সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে বোর্ড।