ভিনরাজ্যে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা বিশেষ করে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিগ্রহের ঘটনা ঘটছে। এবার এ নিয়ে আরও জোরদার আন্দোলনে নামতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এরকম হলে এবার সরাসরি রাজ্যের বিজেপি নেতাদের বাড়ির সামনেই ধর্নায় বসবে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে দলের রাজ্য নেতৃত্ব। মঙ্গলবার এক স্পষ্ট নির্দেশিকায় রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলা বলার অপরাধে যদি কেউ অন্য রাজ্যে হেনস্থার শিকার হন, গ্রেফতার হন কিংবা পুশব্যাকের মাধ্যমে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে সেই ঘটনার প্রতিক্রিয়া স্বরূপ ওই ব্যক্তির নিজের এলাকার বিজেপি নেতাদের বাড়ির সামনেই ধর্না আন্দোলনে নামবেন তৃণমূলের স্থানীয় কর্মীরা।
আরও পড়ুন: ছত্তিশগড়ে বাঙালি শ্রমিকদের ‘মিথ্যা মামলায়’ গ্রেফতার! অপহরণের অভিযোগ মহুয়ার
এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে আছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বাঙালি অস্মিতা’ রক্ষার ডাক। ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, এবার সংসদের ভিতরে-বাইরে, রাজ্যে-রাজপথে বাংলাভাষা ও বাঙালি পরিচয়ের বিরুদ্ধে ঘৃণার বিরুদ্ধে জোরদার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। সাংসদদের সংসদে বাংলায় বক্তৃতা দেওয়ার জন্যও উৎসাহিত করা হচ্ছে। একইসঙ্গে বিজেপি শাসিত রাজ্যে ভাষা বিদ্বেষের প্রতিবাদে রাজ্য বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন ডাকার প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, প্রতিবাদ কর্মসূচিকে নিয়মিত রূপ দিতে প্রতি শনি ও রবিবার রাজ্যজুড়ে আন্দোলনের পরিকল্পনা হয়েছে। ২৭ জুলাই বীরভূম থেকে ‘ভাষা আন্দোলনের’ সূচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। সেই কর্মসূচির অংশ হিসেবে কলকাতায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে মেয়ো রোডে দলীয় সাংসদ ও ছাত্র, যুব, মহিলা, শ্রমিক সংগঠনের নেতারা মিলিত অবস্থানে বসবেন। থাকবে রাজ্যের সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া ও শিক্ষাজগতের বিশিষ্টজনরাও।