ভিন রাজ্যে বিশেষ করে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে হেনস্তার শিকার হচ্ছেন বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা। সেই আবহে এবার বীরভূমের মল্লারপুরে উত্তর প্রদেশ থেকে আসা তীর্থযাত্রীদের বাস আটকে রাখার অভিযোগ উঠল। উত্তরপ্রদেশ থেকে তারাপীঠ দর্শনে আসা ওই বাসকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে রাজ্য পরিবহণ দফতরের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, পারমিট সংক্রান্ত অজুহাতে প্রায় দুই লক্ষ টাকার কাছাকাছি জরিমানা ধার্য করে যাত্রীসহ বাসটিকে সারাদিন আটকে রাখা হয়। যাত্রীদের অভিযোগ, দিনভর জল-খাবার তো দূরের কথা, শৌচাগার ব্যবস্থাও ছিল না। ফলে চরম দুর্ভোগের শিকার হন মহিলা ও শিশুরাও। এ নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ছত্তিশগড়ে বাঙালি শ্রমিকদের ‘মিথ্যা মামলায়’ গ্রেফতার! অপহরণের অভিযোগ মহুয়ার
জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর থেকে প্রায় ৬০ জনের একটি দল রিজার্ভ বাসে করে তারাপীঠ ঘুরে দেওঘরের দিকে রওনা হচ্ছিলেন। পথে মল্লারপুরের কাছে রাজ্য পরিবহণ দফতরের আধিকারিকরা বাসটিকে থামিয়ে পারমিট যাচাই করতে চান। চালক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখালেও অভিযোগ, আধিকারিকরা সেটিকে ‘জাল পারমিট’ বলে দাবি করেন। তারপরই প্রায় ১,৯৪,৪৪৫ টাকার জরিমানা ধার্য করা হয়। বাসযাত্রীদের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁদের কাছে বৈধ পারমিট ছিল। তবুও বাসটিকে আটকে রাখা হয়। টাকা না মেটানো পর্যন্ত ছাড়বে না। এই হুঁশিয়ারি দিয়ে সারাদিন বসিয়ে রাখা হয় যাত্রীসহ বাসটিকে। যাত্রীরা বারবার অনুরোধ করলেও প্রশাসনের তরফে কোনও সহানুভূতি দেখায়নি দফতর। দীর্ঘসময় পেরিয়ে যাওয়ার পর, ক্ষোভে ফেটে পড়েন যাত্রীরা। দুপুরের পর ১৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। অভিযোগ, কারও সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুমতিও দেওয়া হয়নি, খাবার কিংবা বিশ্রামেরও ব্যবস্থা ছিল না। পরে মল্লারপুর থানার পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়।