বিহারের পর এবার পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের তীব্র টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। রাজ্যের অভিযোগ, নির্বাচন কমিশন রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা ছাড়াই এসআইআরের প্রস্তুতি শুরু করেছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই স্বরাষ্ট্রসচিব সরাসরি চিঠি পাঠিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সিইওকে। প্রস্তুতির পদ্ধতি নিয়ে জানতে চেয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিহারের খসড়া তালিকায় বাদ ৬৫ লক্ষ ভোটার! নির্বাচন কমিশনের জবাব তলব SC-র
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক কমিশনকে জানিয়েছিলেন যে এসআইআরের জন্য রাজ্য প্রস্তুত। সেই তথ্যের সত্যতা যাচাই করতেই স্বরাষ্ট্রসচিবের পক্ষ থেকে এই চিঠি পাঠানো হয়। প্রসঙ্গত, এর আগেই ভোটার তালিকা সংশোধন প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগে বারুইপুর পূর্ব ও ময়না বিধানসভা কেন্দ্রের মোট চারজন ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার ও সহকারী ইআরও-কে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি, তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরেরও নির্দেশ ছিল। এক ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের বিরুদ্ধেও একই পদক্ষেপের কথা বলা হয়। এই নির্দেশ এখনও কার্যকর না হওয়ায় গতকাল মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে নোটিশ পাঠিয়ে সোমবার বিকেল তিনটার মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে। এই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতেই স্বরাষ্ট্রসচিবের পাল্টা চিঠি নতুন করে সংঘাত বাড়িয়েছে।
রাজনৈতিক মহলে তৃণমূলের তরফে তীব্র প্রতিক্রিয়া এসেছে। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, ভোটার তালিকায় গরমিল থাকলে ২০২৪ সালের নির্বাচিত সরকারও অবৈধ হয়ে যাবে। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, বাংলায় এসআইআর চালু করতে দেবেন না এবং প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, কারও নাম বাদ দেওয়া যাবে না। উল্লেখ্য, মৃত বা নিখোঁজ ভোটারদের নাম বাদ দিয়ে নতুন তালিকা তৈরি করছে কমিশন। পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের সব রাজ্যেই এই এসআইআর শুরু হওয়ার কথা।