বাল্যবিবাহ রুখতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। একাধিক প্রকল্প ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে। ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পের মাধ্যমে নাবালিকাদের অল্প বয়সে বিয়ে রোখা অনেকটাই সম্ভব হয়েছে। তেমনই স্কুল, কলেজ ও প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে চলেছে প্রচার। তবে এসবের পরেও সমাজের নানা স্তরে এখনও বাল্যবিবাহের প্রবণতা একেবারে নির্মূল হয়নি। এবার সেই চেনা ছবি ভাঙতেই আরও কঠোর অবস্থান নিতে চলেছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন: বাল্যবিবাহ রোধে একগুচ্ছ পদক্ষেপ, বসানো হবে ৩০০ সাইনবোর্ড
২০০৬ সালের ‘প্রোহিবিশন অফ চাইল্ড ম্যারেজ অ্যাক্ট’-এর নিরিখে এবার রাজ্য সরকারের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নাবালক-নাবালিকার বিয়েতে শুধু পাত্র-পাত্রী বা তাঁদের পরিবারই নয়, দায়ে পড়তে পারেন বিয়েতে আমন্ত্রিত অতিথিরাও। যাঁরা শুধু বিয়েবাড়িতে ভোজ খেতে যান, তাঁরাও আইনের আওতায় পড়তে পারেন। শুধু তাই নয়, আমন্ত্রিত ব্যক্তিদের পাশাপাশি পুরোহিত, ক্যাটারার, বা অনুষ্ঠান - সংশ্লিষ্ট কোনও পরিষেবা প্রদানকারী সকলেই শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন।
এমনকী জেল-জরিমানাও হতে পারে। এই আইন আগেই ছিল। বাল্যবিবাহ রুখতে এবার সেই আইনের কথাই মনে করাল রাজ্য প্রশাসন। ইতিমধ্যেই জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে এই সংক্রান্ত গাইডলাইন। নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতরের থেকে গত ১৫ মে একটি বিস্তারিত নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে জেলার আধিকারিকদের কাছে। সেখানে এই আইন প্রয়োগের বিষয়টি আরও জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলাগুলিও সেই অনুযায়ী কাজ শুরু করে দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে