রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ওই পরিবারকে ৩ লক্ষ টাকার আর্থিক সাহায্যও করা হয়েছে। মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের কুলতলির বাড়িতে দেখা করতে যান রাজ্যসভার সাংসদ তথা পরিযায়ী ওয়েলফেয়ার বোর্ডের চেয়ারম্যান সামিরুল ইসলাম। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা হয় মৃতের পরিবারের সদস্যদের। পাশে থাকার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী।
Ad
মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের স্ত্রী শাকিলা সর্দার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন।
হরিয়ানাতে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় মৃত্যু হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার পরিযায়ী শ্রমিকের। এই ঘটনায় এবার তাঁর স্ত্রীকে চাকরি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, বুধবার মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের স্ত্রী শাকিলা সর্দার নবান্নে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁর সঙ্গে ছিল চার বছরের শিশুকন্যা। মুখ্যমন্ত্রী মৃতের স্ত্রীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন। বাসন্তীতে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে একবছরের জন্য অ্য়াটেনডেন্ট এবং পরে গ্রুপ–ডি পদে যোগ দেবেন শাকিলা সর্দার। গোমাংস খাওয়ার অভিযোগে হরিয়ানায় পিটিয়ে মারা হয়েছিল শাকিলার স্বামীকে।
হরিয়ানার সেই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল। কারণ সেখানে পিটিয়ে মারা হয় পরিযায়ী শ্রমিক সাবির মল্লিককে (২৬)। আজ তাঁর স্ত্রী শাকিলা সর্দার মল্লিক নবান্নে এসে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে ডেকে পাঠিয়ে ছিলেন। চার বছরের মেয়েকে নিয়েও আসেন শাকিলা। তাঁকে চাকরি দিল রাজ্য সরকার। গত ২৭ অগস্ট বাংলার শ্রমিক সাবির মল্লিক গণপিটুনিতে মারা যান বলে অভিযোগ। তারপর থেকেই গোটা ঘটনা নিয়ে সরব হয় তৃণমূল কংগ্রেস। এবার সেই পরিবারের সদস্যকে চাকরি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে জীবনতলায় বাড়ি হলেও বিয়ের পর স্ত্রী–শিশুকন্যাকে নিয়ে বাসন্তীতে চলে আসেন সাবির। হরিয়ানা থেকে সাবির বছরে একবার বাড়ি আসতেন। হরিয়ানার চরখি দাদরি জেলায় গত ২৭ অগস্ট কয়েকজন সাবিরকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর পিটিয়ে খুন করে। সাবির গোমাংস খেয়েছেন এই অভিযোগ তুলে তাঁকে মারধর করা হয়। সাবিরকে পিটিয়ে খুন করার ঘটনায় দুই নাবালক–সহ সাতজনকে গ্রেফতার করেছে হরিয়ানা পুলিশ। এদিন নিয়োগপত্র তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাবির মল্লিকের স্ত্রীর হাতে। এমনকী শাকিলার চার বছরের শিশুকন্যার পড়াশোনার যাবতীয় ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।