বাংলার জেলে বন্দি রয়েছে ১২ জন জেএমবি জঙ্গি। এই জঙ্গিরা ওপার বাংলা থেকে এসে এপার বাংলায় গা–ঢাকা দিয়ে থাকা থেকে শুরু করে নাশকতার ছক কষেছে। আর সেই অভিযোগেই গ্রেফতার হয়ে এখনও জেলে বন্দি। এই জঙ্গিরা যে বাংলাদেশের তপ্ত পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে পালিয়ে এসেছে এমন নয়। এরা বহু আগেই এখানে এসে নানা জঙ্গি কার্যকলাপ করার পরিকল্পনা ছকে ছিল। কিন্তু জেলে বন্দি থাকলেও এদের বিচার প্রক্রিয়া থমকে আছে বলে অভিযোগ। ইদানিং কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে অবৈধ পথে বাংলায় ঢুকে পড়েছিল বেশ কয়েকজন জঙ্গি। তাদেরও ধরে ফেলে পুলিশ। এখন ইউনুস সরকারের আমলে এই অবৈধ অনুপ্রবেশ বেশি ঘটছে।
কিন্তু বিচার প্রক্রিয়া থমকে কেন? আইনি গেরোয় বিচার প্রক্রিয়া থমকে রয়েছে জেল হেফাজতে থাকা ১২ জন জেএমবি জঙ্গির। এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসায় এবার সর্বস্তর নড়েচড়ে বসেছে। কলকাতার বিচারভবনে এই মামলা চলছে। যার পরবর্তী শুনানি মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহ। এই বিচারভবন সূত্রে খবর, ২০২০ সালে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ বড় সাফল্য পায়। তারা এই গা–ঢাকা দিয়ে থাকা জেএমবি জঙ্গিদের খুঁজে বের করে। এই জেএমবি জঙ্গিরা শহরের নানা প্রান্তে গা–ঢাকা দিয়ে নাশকতার ছক কষছিল। সেসব জায়গা থেকে এই ১২ জন জঙ্গিকে গ্রেফতার করে এসটিএফের অফিসাররা। আর এই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতা, বিস্ফোরক উদ্ধার–সহ একাধিক অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: ‘বাইরে থেকে ছেলেরা আসত, নিশিযাপন করত’, ফাল্গুনী–আরতির সম্পর্ক বলছেন পড়শিরা
তারপর ঠিক কী ঘটল? এসটিএফের দায়ের করা ওই মামলায় পুলিশ দ্রুত বিচারভবনে চার্জশিট পেশও করে। আর তারপর বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এখানে অভিযুক্ত জেএমবি জঙ্গিদের মধ্যে কয়েকজন বলে বসে, তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটা একেবারেই মিথ্যে। সব কথা সত্যি নয়। আর তাই ওই সমস্ত মিথ্যে অভিযোগ বাতিল করা হোক। জঙ্গিদের পক্ষের আইনজীবী ফজলে আহমেদ খান এমনই দাবি করে বসেন আদালতে। তার জেরে আবার নতুন করে এই মামলার চার্জ গঠনের শুনানির দিন ধার্য করার নির্দেশ দেয় আদালত। এই মামলার সরকারি কৌঁসুলি গণেশ মাইতি জানান, যে কোনও মামলায় চার্জ গঠনের শুনানির সময় সব অভিযুক্তকে আদালতে হাজির থাকতে হয়। আর সেটা না হওয়ায় বিচার প্রক্রিয়া থমকে আছে।