মুখ্যমন্ত্রী তথা দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ পেয়েই ‘ভূতুড়ে ভোটার’ ধরতে পথে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই কাজে একদিকে আরও গতি আনতে এবং অপরদিকে শহর থেকে প্রত্যেকটি জেলার নেতাদের ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য আগামী বৃহস্পতিবার অর্থাৎ লক্ষ্মীবারে সাংগঠনিক বৈঠক ডেকেছেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। কোর কমিটির সদস্য এবং জেলার পদাধিকারীদের নিয়ে এই বৈঠক হবে তৃণমূল ভবনে। সেখানে স্ক্রুটিনির কাজ থেকে শুরু করে ‘ভূতুড়ে ভোটার’ ধরার নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
আগামী ৬ মার্চ তৃণমূল ভবনে রাজ্যের প্রত্যেক জেলার সভাপতি এবং চেয়ারম্যানরা যাতে উপস্থিত থাকেন তার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই নানা জেলা থেকে ‘ভূতুড়ে ভোটার’ নিয়ে তথ্য সামনে এসেছে। চম্পাহাটি, রানিনগর, গঙ্গারামপুর–সহ একাধিক জায়গায় একই এপিক নম্বরের দু’জন ব্যক্তির অস্তিত্ব মিলেছে। এমন তথ্য তুলে ধরে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে কোর কমিটি গড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এই কোর কমিটির প্রধান বৈঠক ডেকেছেন। এই বৈঠকে জেলা ভিত্তিক পর্যালোচনা করা হবে। তারপরই পদক্ষেপ।
আরও পড়ুন: স্কুল পড়ুয়াদের ইউনিফর্ম অনেকটা প্রস্তুত, প্রত্যেক জেলায় নজরদারির নির্দেশ দিল নবান্ন
এদিকে আগামী ১০ দিনে ভূতুড়ে ভোটার তালিকা খতিয়ে দেখে চিহ্নিত করার ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর এই বিষয়ে রিপোর্ট পাঠানো হবে নির্বাচন কমিশনে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের প্রতিবাদে সরব হন শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে চিঠিও লেখেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, একই এপিক নম্বরে দু’জন ভোটার থাকার ঘটনা আছে। কিন্তু তাঁদের ‘ভূতুড়ে ভোটার’ বলা যাবে না। কারণ প্রত্যেকের বিধানসভা কেন্দ্র আলাদা। মুখ্যমন্ত্রীর তোলা অভিযোগ খানিকটা মেনে নেওয়ায় তৃণমূল কংগ্রেস অক্সিজেন পেয়েছে।