সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হয়েছে ২৫ নভেম্বর থেকে। এই আবহে প্রথম দিনই সংসদে আদানি কাণ্ড নিয়ে ঝড় তোলেন বিরোধীরা। মুলতুবি হয়ে যায় অধিবেশন। এই আবহে তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ একটি ভিডিয়ো বার্তায় দাবি করেছেন, তৃণমূল কংগ্রেস চায় না আদানি ইস্যুতে সংসদ অচল হয়ে যাক। পাশাপাশি কংগ্রেসকে একহাত নিয়ে কুণাল আরও দাবি করেন, সংসদে ইন্ডিয়া ব্লকের অবস্থান নিয়ে ছক কষতে বিরোধী দলগুলির যে বৈঠক হয়, তা আর ২ দিন পরে করা উচিত ছিল কংগ্রেসের। কুণালের কথায়, তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের আবহে বিরোধী দলগুলির বৈঠক পিছিয়ে দেওয়া উচিত ছিল। (আরও পড়ুন: খতিয়ে দেখা হচ্ছে নথি, আদানি ঘুষ কাণ্ডে এবার বড় পদক্ষেপের পথে NDA সরকার?)
আরও পড়ুন: একের পর এক অভিযোগ, বাংলাদেশে 'প্রথম আলো' সংবাদপত্র বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ
ভিডিয়ো বার্তায় কুণাল ঘোষ বলেন, 'আমাদের দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক ছিল এদিন। সাংসদরা এই বৈঠকে ছিলেন। আর ইন্ডিয়া বৈঠকে যাওয়া হয়নি বলে ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে। আর তাদেরই বা অত তাড়াহুড়োর কী ছিল? কাল বা পরশুও তো বৈঠক হতে পারত। আর আদানি ইস্যুটি গুরুত্বপূর্ণ। আদানি ইস্যুতে নিশ্চিতভাবে সংসদে প্রতিবাদ হবে। তা বলে ওই ইস্যুতে লাগাতার সংসদ অচল করে যদি বন্ধ করা হয়, তাহলে রাজ্যগুলি নিজেদের বক্তব্য সংসদে রাখবে কীভাবে? ১০০ দিনের কাজ, আবাসের বঞ্চনা নিয়ে বাংলারও কথা বলার আছে সংসদে। শুধু আদানি আদানি করে সংসদের কাজ বন্ধ করলে তো বিজেপিরই লাভ। বিজেপিরই উদ্দেশ্য চরিতার্থ হবে। বিজেপিকে কোনও প্রশ্নের জবাব দিতে হবে না। তাহলে শুধু মুলতবি আর বিক্ষোভ করে কি বিজেপিরই সুবিধা করে দেওয়া হচ্ছে? বাংলাসহ বাকি রাজ্যের দাবিদাওয়াগুলোর তাহলে কী হবে?'