হাতে আর তিনদিন। তারপরই তৃণমূল কংগ্রেসের মেগা ইভেন্ট ‘একুশে জুলাই’। আগামী ২১ জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবস অনুষ্ঠান অন্যান্যবারের তুলনায় আলাদা মাত্রা যোগ করবে বলে সূত্রের খবর। জাতীয় স্তরের কয়েকজন নেতা আসতে পারেন বলে সূত্রের খবর। তার উপর বঙ্গ–বিজেপির দুই সাংসদ যোগ দিতে চাইছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। আর সেটা যদি হয় তাহলে বিজেপির কাছে বড় সেটব্যাক হয়ে দাঁড়াবে। আজ বিজেপির শীর্ষ নেতাদের বৈঠক বসেছিল সায়েন্স সিটিতে। পরাজয়ের কারণ পর্যালোচনা করতেই বৈঠক হয়। সেখানে যদি দু’জন বিজেপি সাংসদ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন তাহলে এই বৈঠক করার অর্থ নিয়েই প্রশ্ন উঠে যায়।
একুশে জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশের মঞ্চে তাঁরা আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দু’জনেই এই বিষয়টি জানেন। এমনকী ওই দুই সাংসদ সদ্য জিতে আসা লোকসভা নির্বাচনে। এই খবর প্রকাশ্য আসতেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে বিজেপির অন্দরে। কারা এই দু’জন সাংসদ? তা খুঁজতে শুরু করেছেন বঙ্গ–বিজেপির নেতারা। কিন্তু এখন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলে দলবিরোধী আইনের আওতায় পড়ে যাবেন তাঁরা। তাই তাঁদের আপাতত বলা হয়েছে বিজেপিতে থেকে ভিতরের খবর দেওয়ার কাজ করতে। এই বিস্ফোরক তথ্য দিয়ে দাবি করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কুণাল ঘোষ।
আরও পড়ুন: ভিন রাজ্যে আলু পাঠানো বন্ধের নির্দেশ দিল নবান্ন, সবজির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বৈঠক
তবে এই দু’জন সাংসদ কারা সেটা খোলসা করেননি কুণাল ঘোষ। এবার লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। তাদের ১৮টি আসন থেকে নেমে ১২টিতে পৌঁছে গিয়েছে। তার মধ্যেও যদি দু’জন সাংসদ দলবদল করে তাহলে সংখ্যা ১০’এ নেমে যাবে। সূত্রের খবর, বিজেপির কয়েকজন বিধায়ক একুশে জুলাইয়ে এসে যোগ দিতে পারেন তৃণমূল কংগ্রেসে। আর এই বিষয়ে কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘অনেক বিধায়ক যোগ দিতে চাইছেন। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব সেটা দেখছেন। সময় দেখে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তারিখ তো অনেক পড়ে আছে।’