বাংলার ছেলেমেয়েদের উচ্চশিক্ষায় যাতে বাধা না হয় কোনও পরিস্থিতি তাই ‘তরুণের স্বপ্ন প্রকল্প’ নিয়ে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্পে উচ্চমাধ্যমিক স্তরের পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার জন্য টাকা দেওয়া হয়ে থাকে। যাতে পড়ুয়ারা অনলাইনে পড়াশোনা করতে পারে। আবার অনলাইনে নানা ক্লাসে যোগ দিতে পারে। তাই ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয় ট্যাব কিনতে। এই টাকা গায়েব করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল কিছুদিন আগে। এই কাজে এবার যে শিক্ষকরা জড়িত তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ শুরু করল রাজ্য সরকার। এবার তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করল রাজ্য সরকার। এমনকী ওই ঘটনায় তিন শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে বলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর।
প্রশাসন সূত্রে খবর, ট্যাবের টাকা দেওয়ার জন্য প্রত্যেক স্কুলে পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্ট নম্বর ছিল। সেসব জাল করে বা হাতিয়ে নিয়ে ওখানে নিজেদের ব্যাঙ্ক নম্বর বসিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই গোটা কাজে বেশ কয়েকজন শিক্ষক জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকী একটা চক্র এই জালিয়াতিতে কাজ করেছে বলে তথ্য পায় তদন্তকারী অফিসাররা। এই ঘটনা রাজ্য–রাজনীতিতে এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, এটা ‘ট্যাব কেলেঙ্কারি’ বা ‘ট্যাব দুর্নীতি’ বলতে শুরু করেছিলেন বিরোধীরা। অথচ এই কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন কতিপয় শিক্ষকরা। ফলে নাম খারাপ হয় রাজ্য সরকারের।
আরও পড়ুন: নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়ি খাদে পড়তেই সব শেষ, মিরিকে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা মৃত ২ পর্যটক
এই আবহে আবার যেসব পড়ুয়ারা টাকা পায়নি তাদের ট্যাব কেনার টাকা দিতে হয়। ফলে রাজ্য সরকারের দু’বার করে টাকা খরচ হয়। এতে কোষাগারে চাপ পড়ে। সূত্রের খবর, এই ঘটনায় স্কুলশিক্ষা দফতরের নির্দেশে বিভাগীয় তদন্তের প্রক্রিয়া শুরু করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ইতিমধ্যেই তিন শিক্ষককে এই ট্যাব কেলেঙ্কারির জন্য শোকজ করা হয়েছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে ওই শোকজ নোটিশ তাঁদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা গায়েব করে দেওয়ার ঘটনায় তদন্তে নেমে উঠে আসে শিক্ষকদের নাম। তারপরই পুলিশের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে বিভাগীয় তদন্ত শুরুর নির্দেশ দেয় স্কুলশিক্ষা দফতর।